নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: সূর্যের তেজ অস্বাভাবিক। দুপুরে রোদে দাঁড়ানোই কষ্টকর। কিছুক্ষণের মধ্যে গা ঘামছে। রবিবার দিনভর এমনই আবহাওয়া ছিল শিলিগুড়িতে। পাহাড়ও ছিল রোদ ঝলমলে। তবে, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের আমেজ ছিল। বিশেষ করে সূর্য ডোবার পর সংশ্লিষ্ট জেলাগুলি ঠান্ডায় কাঁপে। ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলায় সূর্যের দেখাই মেলেনি। সেখানে ঠান্ডার দাপট প্রতিবেশী জেলাগুলির থেকে বেশি। সর্বত্রই প্রায় কুয়াশার দাপট ছিল। এরজেরে কিছু ট্রেন বাতিল করেছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। সদ্য পশ্চিমীঝঞ্ঝা কাটায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।
রবিবার সকাল থেকেই শিলিগুড়ির আকাশ ছিল মেঘমুক্ত। দিনভর রোদ ঝলমলে আবহাওয়া। সঙ্গে হালকা হাওয়া চললেও শীতের তীব্রতা ছিল না। এদিন হালকা শার্ট ও টি-শার্টের উপর হাফ হাতা জ্যাকেট, হাফ সোয়েটারেই বনাসিন্দাদের দেখা গিয়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় অনেকে বিভিন্ন পার্কে, মহানন্দা নদীর চরে ভিড় করেন। গুলমা, নকশালবাড়ির লালপুল, তোরিবাড়ি প্রভৃতি পিকনিক স্পটেও ভিড় উপচে পড়ে। অনেকে বলেন, মাঘ মাসেই রোদের এতটা দাপট ভাবা যায় না। রোদে কিছুক্ষণ দাঁড়ালেই গা ঘামছে। গায়ে গরম পোশাক রাখা যাচ্ছে না। হালকা হাওয়া চললেও শীতের আমেজ কার্যত উধাও। সন্ধ্যার পর কিছু জায়গা কুয়াশাচ্ছন্ন হলেও ঠান্ডার দাপট ছিল না।
এদিন দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ও ছিল মেঘমুক্ত। দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা শৃঙ্গের দেখা মিলেছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এদিন দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল, ২.৫ এবং ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দু’জায়গাতেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শিলিগুড়ির সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১১.৬ এবং ২৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা বলেন, আকাশ এখন মেঘমুক্ত। সেজন্যই দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে। বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে।
এদিন কোচবিহার ও জলপাইগুড়িও রোদ ঝলমলে ছিল। দুই জায়গাতেই দিনে বেশ গরম অনুভূত হয়েছে। সূর্য ডোবার পর হাড় কাঁপানো ঠান্ডা অনুভূত হয়। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়সাসের আশপাশে। সংশ্লিষ্ট দুই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তবে আলিপুরদুয়ার জেলায় দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। সঙ্গে কনকনে হাওয়া চলেছে। এজন্য দিনভরই ঠান্ডা অনুভূত হয়েছে।
সিকিম কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা বলেন, মেঘমুক্ত আকাশ হওয়ায় দিনে ঠান্ডার আমেজ কিছুটা কম অনুভূত হয়েছে। সূর্য ডুবতেই ঠান্ডার দাপট কিছুটা বাড়বে। ভোরের দিকে কিছু জায়গায় কুয়াশার দাপটও থাকবে। এমন আবহাওয়া আরও তিন-চারদিন অব্যাহত থাকবে। নিজস্ব চিত্র।