• মানিকচক ঘাটে টিকিট ঘরে আগুন, আন্তঃরাজ্য সীমানায় বাড়তি নিরাপত্তার দাবি
    বর্তমান | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকের ঘাটে লঞ্চ পরিষেবার জায়গা পরিবর্তন হতেই শনিবার রাতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হল টিকিট ঘর। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তা স্পষ্ট হয়নি। স্থানীয় এবং লরি চালকদের তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।


    মানিকচক ঘাট বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের আন্তরাজ্য সীমানা। প্রতিদিন গঙ্গাবক্ষে লঞ্চের মাধ্যমে হাজার হাজার যাত্রী এবং যানবাহন পারাপার হয়। একমাস আগে হঠাৎ করে গভীর রাতে গঙ্গা ভাঙন হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যায়। প্রায় ২২টি দোকান সহ লঞ্চ পারাপারের জায়গাও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল লঞ্চ পরিষেবা। পরবর্তীতে প্রশাসন এবং ঘাট কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে যাত্রী ও যানবাহন পরিষেবা শুরু হয় অন্য স্থানে। পাশাপাশি নতুনভাবে স্থায়ী জায়গা তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছিল। কিছুদিন আগেই কাজ শেষ করে মানিকচক ঘাট থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে নতুন স্থায়ী যাত্রী পারাপারের ঘাট করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার গভীর রাতে  অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। ভস্মীভূত হয়েছে টিকিট ঘর সহ নথিপত্র। এদিন অস্থায়ীভাবে একটি দোকান থেকে যাত্রীদের টিকিট সরবরাহ করা হয়।


    ঘাটের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ভানু সিং বলেন, সন্ধ্যায় শেষ লঞ্চ আসার পর আমরা টিকিট ঘর বন্ধ রেখে বাড়ি চলে যাই। রাতে খবর পেয়েছিলাম আগুন লেগেছে। টিকিট ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছিল বলে শর্টসার্কিটের সম্ভাবনা নেই। কেউ আগুন লাগিয়েছে। রাতেই মানিকচক থানার পুলিস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। 


    এই ঘটনার পর মানিকচক ঘাটের আন্তঃরাজ্য সীমানায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও কর্মী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা তথা মানিকচক ঘাট ম্যানেজার আনন্দ রাজ সিং। তিনি বলেন, রাতে পুলিস ছিল কি না, জানি না। তবে কর্মীরা ভয়ে রয়েছেন। নতুন ঘাট হওয়ায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি। এখানে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত।


    মানিকচক থানার আইসি সুবীর কর্মকার বলেন, ঘাট কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে কীভাবে আগুন লাগল খতিয়ে দেখছি। নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)