ধূপগুড়ি মহকুমা গঠনের বর্ষপূর্তি, এসডিও অফিসে কাটা হল কেক
বর্তমান | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: কেক কেটে ধূপগুড়ি মহকুমার বর্ষপূর্তি পালন করা হলেও প্রাপ্তির থেকে না পাওয়ার তালিকা দীর্ঘ। গড়ে ওঠেনি নতুন কর্মসংস্থান সহ প্রশাসনিক ভবন। যা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ।
রবিবার ধূপগুড়ির মহকুমার একবছর পূর্তি হল। এ উপলক্ষ্যে এসডিও অফিসে প্রশাসনের তরফে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান করা হয়। কেক কেটে দিনটি উদযাপন করেন ধূপগুড়ির মহকুমা শাসক পুষ্পা দোলমা লেপচা। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়, মহকুমা পুলিস আধিকারিক গ্যালসন লেপচা, ধূপগুড়ির বিডিও সঞ্জয় প্রধান, বানারহাটের বিডিও নিরঞ্জন বর্মন প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ধূপগুড়িবাসীর দাবি ছিল ধূপগুড়িকে মহকুমা করা হোক। মহকুমা ঘোষণা হলে হাসপাতালের উন্নয়ন হবে, বিভিন্ন অফিস গড়ে উঠছে, ধূপগুড়িবাসী পাবেন আদালত। বিভিন্ন অফিস কাছাড়িতে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের কাজের সুযোগ ঘটবে। বিভিন্ন দিক দিয়ে আরও উন্নয়ন হবে। ২০২৩ সালে ধূপগুড়ি বিধানসভা উপ নির্বাচনে তৃণমূল জেতার পর ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। দ্রুত গতিতে শুরু হয় মহকুমা গঠনের। কিন্তু বর্তমানে সেই কাজ অনেকটাই থিতিয়ে বলে মনে করছেন ধূপগুড়িবাসী।
কারণ হিবেসে তাঁদের যুক্তি, ধূপগুড়ি বিডিও অফিসের অস্থায়ী বিল্ডিংয়েই কাজ সারতে হচ্ছে মহকুমা শাসককে। ভাড়াবাড়িতে অফিস বানিয়ে কাজ করছেন এসডিপিও। মহকুমার দাবিতে একসময়ে আন্দোলনে নামা ধূপগুড়ি নাগরিক মঞ্চের মুখেও আজ হতাশার সুর। সংগঠনের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, মহকুমা হয়েছে ভালো। কর্মসংস্থান হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কোনও কর্মসংস্থানই হয়নি। এমনকী দেখা যাচ্ছে ধূপগুড়ির বাইরের এলাকার ছেলেমেয়ে মহকুমা অফিসে কাজ করছেন। একেই দাবি শিক্ষক বিধান ঘোষের। বলেন, আশা ছিল স্থানীয়দের কর্মসংস্থান হবে। কিন্তু তা হয়নি। জানি না, হবে কি না।
ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ধূপগুড়ির মানুষেরেই কর্মসংস্থান হবে তা নয়। পরিকাঠামো গড়ে উঠলে আশেপাশে দোকানপাট গড়ে উঠবে। লোকজনের কাজ মিলবে। আর যদি চুক্তিভিক্তিক কর্মী নিয়োগ হয় সেক্ষেত্রে স্থানীয়রা অগ্রাধিকার পাবেন।
ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতাল হয়েছে। বোর্ডও লেগেছে। একঝাঁক চিকিৎসক, নার্স এসেছেন। তবে পুরনো বিল্ডিংয়েই কাজ চলছে। নতুন বিল্ডিংয়ের দরকার। এসডিও অফিস গড়ে ওঠেনি। মহকুমা আদালতের জন্য জমি দেখা হলেও কাজ শুরু হয়নি। তবে নিরাশ নন, বরঞ্চ আরও সময় দিতে চান ধূপগুড়িবাসীর আরএকটি অংশ। গৃহবধূ অলোকা রায় সরকার বলেন, সব তো একবছর। আরও সময় দেওয়াই যায়।
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রশাসনিক আধিকারিকরা তাঁদের একবছরের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এসডিও বলেন, চেষ্টা করব আগামী দিনে আরও মানুষকে পরিষেবা দেওয়া থেকে বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে আসার। মহকুমা স্তরে যত অফিস রয়েছে, আশা করি সব দ্রুত হয়ে যাবে। নিজস্ব চিত্র।