সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: রবিবার ডাকঘড়া হাইস্কুলের মাঠে শীতলকুচি বিধানসভা ভিত্তিক কর্মিসভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় দলের জেলা চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ, সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া উপস্থিত ছিলেন। শীতলকুচির প্রাক্তন বিধায়ক হিতেন বর্মন ও প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সহ মাথাভাঙা-১ ও মাথাভাঙা-২ ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন। সভার শুরু থেকে দলেরই একাংশকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখেন বক্তারা। নাম না করে ব্লকস্তর ও জেলাস্তরের একাধিক নেতাকে কটাক্ষ করা হয়। অপরদিকে, ব্লকস্তরের একাধিক নেতাকে কর্মিসভায় ডাকাই হয়নি। ফলে নিচুতলার কর্মিদের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে জোরকদমে প্রচার করার নিদান দেওয়া হলেও দলে কোন্দল যে প্রকট আকার ধারণ করছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
সাংসদ বলেন, এখানকার কিছু নেতা বৈঠকে আসেননি। ওরা বলছে ব্লক সভাপতি ওদের পাত্তা দেয় না। হাজার হাজার কর্মি এসেছেন। ব্লক সভাপতি তো কাউকে ব্যক্তিগতভাবে বলেননি। এভাবে বলাও সম্ভব নয়। তৃণমূল চলন্ত ট্রেন, এখানে যাঁরা উঠতে চাইবেন তাঁরা উঠতে পারেন। ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করে থাকবে না। জেলা সভাপতি বলেন, আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব।
তবে এদিন মঞ্চে ছিলেন না প্রাক্তন ব্লক সভাপতি আবেদ আলি মিয়াঁ, কিষান খেত মজুরের ব্লক সভাপতি সাহের আলি মিয়াঁ, শ্রমিক সংগঠনের ব্লক সভাপতি কৃষ্ণকিশোর রায় সিংহ। মাথাভাঙা-১ ব্লকের তৃণমূল নেতা তথা জেলা আইএনটিটিইউসি’র সাধারণ সম্পাদক আলিজার রহমান আসেননি। আলিজার বলেন, আমরা তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে আছি। বিধানসভা ভিত্তিক কর্মিসভা হল, অথচ আমাদের কিছুই বলা হল না। উল্টো জেলা নেতাদের একাংশকে ও আমাদের কয়েকজনকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তি করা হয়েছে। এটা চরম অপমানের।
যদিও তৃণমূলের মাথাভাঙা-১ ব্লক (এ) সভাপতি মহেন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, জেলা নেতৃত্বের আহ্বানে কর্মিসভা হয়েছে। অনেকেই দলের একাধিক কর্মসূচিতে আসেন না। কে বাইরে কি বলেছেন, এটা নিয়ে কিছু বলার নেই।