• বিশ্রামাগার থাকলেও উমপুনে উড়ে গিয়েছে ছাউনি, সমস্যায় নিত্যযাত্রীরা
    বর্তমান | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: ২০১৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল কাকদ্বীপের রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের গণ্ডকাটা খেয়াঘাটের যাত্রী বিশ্রামাগার। এরপর উমপুন ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল তার ছাউনি। কিন্তু আজও পর্যন্ত সেই বিশ্রামাগারের কোনও মেরামত করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে ছাউনিবিহীন বিশ্রামাগারটি দাঁড়িয়ে রয়েছে কালনাগিনী নদীর তীরে।


    জানা গিয়েছে, গণ্ডকাটা খেয়াঘাটের বিপরীত দিকে রয়েছে গঙ্গাধরপুর বটতলা ঘাট। এছাড়াও অন্য দিকে রয়েছে ১৫ নম্বরের খেয়াঘাট। ছোট ভুটভুটির মাধ্যমে রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা গণ্ডকাটা খেয়াঘাটে থেকে ১৫ নম্বর ও গঙ্গাধরপুরে যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, গণ্ডকাটা খেয়াঘাটে একটি বিশ্রামাগার তৈরি করে দেওয়ার জন্য। সেই দাবি মেনে কালনাগিনী নদীর তীরে ওই খেয়াঘাটে একটি বিশ্রামাগার তৈরিও করা হয়েছিল। এমনকী সেখানে সোলারের আলোও বসানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান ওই বিশ্রামাগারের ছাউনি এবং সোলারের আলোগুলিও নেই। পরিবহণ দপ্তরের অর্থানুকূল্যে এই বিশ্রামাগারটি তৈরি হয়েছিল। এই খেয়াঘাট থেকে রোজ প্রায় ১৫০ জন যাত্রী যাতায়াত করেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঝড়, বৃষ্টি ও রোদের সময় এই বিশ্রামাগারে বসা যায় না। এই সমস্যার কথা বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।


    স্থানীয় এক বাসিন্দা প্রভাকর গারু বলেন, গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এই বিশ্রামাগারে কোনও নৌকাযাত্রী বসতে পারেন না। কারণ বর্তমান এই বিশ্রামাগারের শুধু দেওয়ালগুলি দাঁড়িয়ে রয়েছে। উপরে কোনও ছাউনি নেই। সোলারের আলোগুলিও সব ভেঙে গিয়েছে। রাত হলে খেয়াঘাটটি সম্পূর্ণ অন্ধকারে ডুবে যায়। তখন ওই বিশ্রামাগারে বসে নৌকার জন্য অপেক্ষা করতে ভয় লাগে। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে বিদ্যুতের আলো বসিয়েছেন। বিশ্রামাগারটি মেরামত না হওয়ার জন্য নৌকার যাত্রীরা খুবই সমস্যায় পড়েছেন।


    আর কাকদ্বীপের বিডিও ঋক গোস্বামী বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি সত্যিই ছাউনি না থাকে, তাহলে মেরামত করে দেওয়া হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)