• ‘চার থানায় ঘুরেও ছেলের খোঁজ মেলেনি’
    বর্তমান | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পনেরো বছরের কিশোর ইএম বাইপাস থেকে উধাও। না মিলছে তার ফোন, না মিলছে পুলিসের সহযোগিতা। তাই নিখোঁজের সন্ধানে পরিবারের কয়েকজন যখন হাসনাবাদ থানায়, তখন প্রগতি ময়দান থানায় ছিলেন অন্যেরা। কিছুক্ষণের মধ্যে আরও কয়েকজন পৌঁছে গেলেন টালিগঞ্জ ও রবীন্দ্র সরোবর থানায়। গোটা শহর যখন শীতঘুমে আচ্ছন্ন, তখন কলকাতার একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে ছুটে বেড়াচ্ছেন ঘোষ পরিবারের সদস্যরা। আর্তি একটাই— ‘ছেলেটাকে পাওয়া যাচ্ছে না, একটু সাহায্য করুন না।’ রাত শেষে খোঁজ মিলল বাইপাস থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে মিনাখাঁ হাসপাতালে।


    কাতর মা রবিবার ছেলের মৃতদেহের সামনে বললেন, ‘শেষবার ফোনে ছেলে বলেছিল সায়েন্স সিটির কাছে রয়েছে। সেকথা আমরা হাসনাবাদ থানাকে জানাই। ওই থানা জানায় ঘটনাস্থলটি প্রগতি ময়দান থানার অধীনে। তাই সেখানে গিয়ে মিসিং ডায়েরি করতে হবে।’ এই ‘নিদান’ শুনে বিন্দুমাত্র দেরি করেনি পরিবার। রাতেই প্রগতি ময়দান থানায় যান কিশোরের বাবা ও মামা। বাবা উজ্জ্বল ঘোষের বক্তব্য, ‘থানা সাফ জানিয়ে দেয়, ২৪ ঘণ্টা না কাটলে অভিযোগ নেওয়া যাবে না। জিজ্ঞাসা করে, ছেলের কোথায় যাওয়ার কথা ছিল? রাসবিহারীর কাছে ক্রিকেট প্র্যাক্টিস করতে যায় শুনে প্রগতি ময়দান থানার আধিকারিকরা টালিগঞ্জ থানায় যেতে বলেন। টালিগঞ্জ থানা জানায় রবীন্দ্র সরোবরে যে অংশে ক্রিকেট প্র্যাক্টিস হয়, তা আমাদের এলাকাভুক্ত নয়। রবীন্দ্র সরোবর থানায়যোগাযোগ করতে বলা হয়।’ থানা-দর্শন করতে করতেই ফোন আসে পরিবারের কাছে। জানানো হয়, নাবালক আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিনাখাঁ হাসপাতালে ভর্তি। ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে রাতভর হেনস্তার শিকার হতে হল পরিবারকে। ডিসি (ইস্ট) অরীশ বিলাল বলেন, ‘রাতেই প্রগতি ময়দান থানার অফিসাররা তদন্ত শুরু করেন। হাসনাবাদ থানার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়।’
  • Link to this news (বর্তমান)