• উলুবেড়িয়ায় দোকান ভেঙে ঢুকল  বেপরোয়া বাইক, ২ যুবকের মৃত্যু
    বর্তমান | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: বাইক নিয়ে ঘুরতে যাওয়াই কাল হল উলুবেড়িয়ার তিন যুবকের। প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানের খাওয়া দাওয়া সেরে তাঁরা বাইক নিয়ে আশপাশের এলাকা ঘুরতে গিয়েছিলন। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি খাবারের দোকানের দেওয়ালে গিয়ে ধাক্কা মারে ওই বাইক। শুধু তাই নয়, দেওয়াল ভেঙে বাইকটি ভিতরেও ঢুকে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই যুবকের। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার গভীর রাতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে উলুবেড়িয়া-শ্যামপুর সড়কে কালীনগরের ফারুক সাহেবের মোড়ে। উলুবেড়িয়া থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতরা হল ফারুক মল্লিক (১৮) এবং সাইদুল শেখ (২২)। তাঁরা উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জগদীশপুরের বাসিন্দা ছিলেন। গুরুতর জখম শেখ রহমানকে কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উলুবেড়িয়া থানার পুলিস মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়ার শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে।


    পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক-বিবাহ অনুষ্ঠানে খাওয়া দাওয়া সেরে তিন যুবক বাইক নিয়ে শ্যামপুরের দিকে ঘুরতে যান। কালীনগরের ফারুক সাহেবের মোড়ের কাছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাইকটি রাস্তার পাশে থাকা একটি খাবারের দোকানের দেওয়াল ভেঙে ভিতরে ঢুকে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনই দোকানের ভিতরে পড়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা ফারুক ও সাইদুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শেখ রহমানের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার সকালে ফারুক সাহেবের মোড়ে গিয়ে দেখা গেল, দোকানের বাইরে মানুষের জটলা। দোকানের ভিতরে পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, শনিবার গভীর রাতে বিকট শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখি, দোকানের দেওয়াল ভাঙা, ভিতরে তিনজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।


    শোকস্তব্ধ গোটা জগদীশপুর এলাকা। জায়গায় জায়গায় মানুষের জটলা। একসঙ্গে দুই তরতাজা যুবকের মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছেন না। ফারুক মল্লিকের বাড়িতে ঢুকতেই কানে এল কান্নার রোল। মৃতের মা আলমোরা খাতুন বলেন, বিয়ে বাড়িতে যাবে বলে ছেলে সন্ধ্যা ৭টার সময় বেরিয়েছিল। রাত ১০টায় ফেরার কথা ছিল। গভীর রাতে খবর পাই, বাইক দুর্ঘটনায় ছেলে আহত হয়েছে। ভেবেছিলাম সুস্থ হয়ে ফিরে আসবে। এদিন সকালে ছেলের মৃত্যুর খবর পাই। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, দ্রুতগতিতে বাইক চালানোর ফলেই এই দুঘর্টনা। তিনজনের কারও মাথাতেই হেলমেট ছিল না।
  • Link to this news (বর্তমান)