• অনুব্রতর মতোই ‘দক্ষ সংগঠক’ বালুও কি নতুন   করে দায়িত্ব পাবেন, তৃণমূলের অন্দরে জোর চর্চা
    বর্তমান | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: তৃণমূলের ‘দক্ষ সংগঠক’ হিসেবে যাঁদের নামডাক রয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মতো তাবড় নেতা। তাঁদের সাংগঠনিক ক্ষমতার জোরে বছরের পর বছর সাফল্য এসেছে তৃণমূলের। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর অনুব্রতকে ফের বীরভূমের রাজনীতিতে সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে। সেই সূত্রেই তৃণমূলের অন্দরে জোর চর্চা, এবার কি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও উত্তর ২৪ পরগনায় দলের কাজে আগের মতো সক্রিয় দেখা যাবে? দল কি ভরসার হাত বাড়িয়ে দেবে পুরনো সৈনিক বালুর দিকে? সূত্রের খবর, সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে দিন কয়েকের মধ্যে।


    যে কোনও রাজনৈতিক দলে এমন কয়েকজন নেতা থাকেন, ‘দক্ষ সংগঠক’ হিসেবে যাঁদের পরিচিতি তৈরি হয়ে যায়। তাঁদের সাংগঠনিক দক্ষতায় ভর করে কঠিন সময় পার করে দল। তৃণমূলের ক্ষেত্রে বীরভূমের অনুব্রত ওরফে কেষ্ট মণ্ডলের নাম এক্ষেত্রে উল্লেখ করতেই হয়। একটা সময় তাঁর হাত ধরে বীরভূম জেলায় তৃণমূল এতটাই শক্তিশালী হয়েছিল যে বিরোধীরা আঁচড় কাটতে পারেনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেপ্তার হলেও বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ ফাঁকা রেখে দল তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রতর জেলযাত্রার পর সংগঠন দেখভালের জন্য একটি কোর কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল দলের তরফে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ওই কোর কমিটিকে সঙ্গে নিয়েই রাজনীতির ময়দানে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন অনুব্রত। 


    তৃণমূলের অন্দরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ওরফে বালুর সাংগঠনিক দক্ষতাও প্রশ্নাতীত। একটা সময় গোটা উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সংগঠন তিনি দেখতেন। বারাকপুর থেকে বসিরহাট—সব জনপ্রতিনিধি, দলীয় পদাধিকারী ও কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ থাকত তাঁর। সাংগঠনিকভাবে উত্তর ২৪ পরগনাকে একাধিক জেলায় ভাগ করলেও তাঁর নজরদারি ছিল গোটা জেলাতেই। তাঁর হাতযশে একের পর এক ভোটে কলকাতা লাগোয়া এই জেলায় তাক লাগানো সাফল্য পেয়েছে জোড়াফুল শিবির। তৃণমূলের একাধিক নেতা বলছেন, ‘বালু জেলে থাকাকালীন সন্দেশখালির মতো ঘটনা ঘটেছে। স্বরূপনগর, বনগাঁ বিভিন্ন সময়ে উত্তপ্ত হয়েছে। তখন দক্ষ সংগঠক বালুর অভাব বোধ করেছেন জেলার নেতারা।’ এই আবহে বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। ৩৩টি বিধানসভা আসন বিশিষ্ট উত্তর ২৪ পরগনায় দলের সংগঠনে বালু কতটা সক্রিয় হবেন, তা নিয়েও তাই বিস্তর গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে জ্যোতিপ্রিয়র ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, শারীরিক অসুস্থতা কাটিয়ে রাজনীতির ময়দানে নামবেন তিনি। কিন্তু সাংগঠনিক স্তরে বালু আগের মতো সক্রিয় হলে জেলা তৃণমূলের কয়েকজন নেতা-নেত্রীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার আগে আজ, সোমবার বিধানসভায় যাওয়ার কথা রয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর। তিনি এদিন জামিন সংক্রান্ত কাগজপত্র বিধানসভায় জমা দিতে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)