• প্রিজন ভ্যান থেকে পালিয়ে একাধিক  বাইকে পরপর ডেরা বদল সাজ্জাকের
    বর্তমান | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গোয়লপোখরে পুলিসের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত সাজ্জাক প্রিজন ভ্যান থেকে পালানোর পর বাইকে চড়ে একের পর এক ডেরা বদলাচ্ছিল। এই বাইক তাকে সরবরাহ করছিল পলাতক আর এক অভিযুক্ত আব্দুল হুসেন ওরফে আবাল। পালানোর জন্য ব্যবহার করা এই বাইকগুলির খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা।


    তদন্তে উঠে আসছে, মাসখানেক আগে পরিকল্পনামতো তিনটি পুরনো বাইক কেনা হয়। যে রাস্তা দিয়ে ইসলামপুর আদালতে অভিযুক্তদের আনা হয় রায়গঞ্জ জেল থেকে ওই এলাকা বেশ কয়েকবার রেকি করে যায় আব্দুল। তারা পালিয়ে সেখান থেকে কোনদিক দিয়ে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় যাবে, তা চূড়ান্ত করে ফেলে আব্দুল। তদন্তকারীরা হাজরতকে জেরা করে জেনেছেন, ঘটনার আগের দিন আব্দুলকে জেল থেকে ফোন করে পুরো পরিকল্পনা জেনে নেয় সাজ্জাক। জেলে বসে যে মোবাইল থেকে এই গ্যাংস্টার ফোন করত তার কল ডিটেইলস থেকেও কথোপকথনের প্রমাণ মিলেছে। তদন্তে উঠে এসেছে, ঘটনার দিন একটি বাইক আগেই পৌঁছে  যায় ইসলামপুর আদালতে। সাজ্জাক প্রিজন ভ্যান থেকে পালানোর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ওই বাইক হাজির হয়ে তাকে তুলে নেয়। প্রায় একশো কিমি চড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছয় সাজ্জাক। পরে আবার বাইক বদল করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরছিল সে। 


    সাজ্জাকের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে রাজ্য পুলিস অফিসাররা জানতে পারছেন, জেলে নিয়মিত ফোন ব্যবহার করত খুন ও ডাকাতির ঘটনায় এই অভিযুক্ত। কারারক্ষীদের একাংশকে ম্যানেজ করেই সে সেলে ফোন ঢুকিয়েছিল। ওই ফোনের কল ডিটেইলস ও মেসেজ ঘেঁটে তদন্তকারীরা জেনেছেন, সংশোধনাগারে বসেই সে ‘তোলা’ চেয়ে বিভিন্ন লোককে হুমকি ফোন করত। করণদিঘির ত্রাস আব্দুলের শাগরেদরাই এই টাকা সংগ্রহ করত তার হয়ে। এমনকী বিভিন্ন ব্যক্তিকে খুনের ‘সুপারি’ সে নিয়েছে জেলে বসেই। টিম নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে টার্গেট নিকেষ করে দিয়ে আসত। পাশাপাশি সে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবসাও চালাচ্ছিল। তার সঙ্গে বিহারের একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবসায়ীর যোগাযোগ ছিল। বিভিন্ন জায়গায় আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দিত পলাতক আব্দুল।
  • Link to this news (বর্তমান)