গত ১৮ জানুয়ারি শিয়ালদা আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সঞ্জয় রায়। আজ শিয়ালদা আদালতে সাজা ঘোষণা হবে তার বিরুদ্ধে। এর আগে রবিবার প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে নাকি ক্যারম খেলে সঞ্জয়। এদিকে সংশোধনাগারের ভিতরে নিজের মতো ঘুরে বেড়িয়েছে সে। এর আগে অবশ্য গত ১৮ জানুয়ারির রায়ের পর সেই রাতে কিছু খায়নি সঞ্জয়। তবে গতকাল সে ডিনার করেছে। উল্লেখ্য, আজ শিয়ালদা আদালতে বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাস বসবে বেলা সাড়ে ১২টায়। সেই সময়ই তিনি সাজা ঘোষণা করবেন সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। প্রথমে সঞ্জয় এবং তাঁর আইনজীবীর কথা শুনবেন বিচারক। তারপর নির্যাতিতার পরিবারের কথা শুনবেন তিনি। তার পর দুপুরে শাস্তি ঘোষণা করা হবে।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি রায় ঘোষণার সময় শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে প্রমাণ আছে, সেটার ভিত্তিতে সঞ্জয়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪
এদিকে সিবিআই চার্জশিটে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কী কী প্রমাণ ছিল? চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সিসিটিভি ফুটেজ প্রথম প্রমাণ, যা থেকে জানা গিয়েছে, গত ৯ অগস্ট ভোরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চারতলায় গিয়েছিল সঞ্জয় রায়। সঞ্জয়ের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দ্বিতীয় প্রমাণ। তা নিশ্চিত করেছে যে সেই রাতে সঞ্জয় আরজি করেই ছিল। এদিকে তৃতীয় প্রমাণ হল ডিএনএ। খুন হওয়া চিকিৎসকের দেহে মেলা ডিএনএ-র সঙ্গে মিলে গিয়েছে সঞ্জয়ের ডিএনএ। চার্জশিটে উল্লেখিত চতুর্থ প্রমাণ হল, সঞ্জয়ের বাজেয়াপ্ত পোশাকে রক্তের দাগ মিলেছে। এদিয়ে পঞ্চম প্রমাণ হল ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া ছোট ছোট চুল। সেগুলি সঞ্জয়ের বলে জানিয়েছে সিবিআই। ষষ্ঠ প্রমাণ ব্লুটুথ ইয়ারফোন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়। সেটি সঞ্জয়ের ফোনের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল বলে জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে। সঞ্জয়ের শরীরে মেলা ক্ষতচিহ্ন হল সপ্তম প্রমাণ। সঞ্জয় রায়ের শরীরে যে ক্ষতচিহ্ন মিলেছে, সেগুলি নির্যাতিতার প্রতিরোধের ফলেই তৈরি হয়েছিল।
এছাড়া সিবিআইয়ের তরফ থেকে চার্জশিটে বলা হয়েছিল, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতার অন্তর্বাস পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে তা জোরজবরদস্তি খোলার চেষ্টা করা হয়েছিল, যার জেরে তা ছিঁড়ে যায়। এদিকে অভিযুক্তের মেডিক্যাল পরীক্ষা থেকে এ রকম কোনও প্রমাণ মেলেনি যে, তিনি সঙ্গমে অক্ষম। ঘটনাস্থল থেকে লালারস মিলেছিল, তা ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারেরই।