‘ফাঁসির দাবিতে আমিই রাস্তায় নেমেছিলাম’, জেলা সফরের আগে সঞ্জয়কে নিয়ে মন্তব্য মমতার
প্রতিদিন | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি করে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলায় দোষীর সাজা ঘোষণা আর সময়ের অপেক্ষা। অধিকাংশই চান, তার মৃত্যুদণ্ড হোক। সোমবার সাজা ঘোষণার ঠিক আগে জেলা সফরে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীও সেকথাই বললেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বললেন, ”ফাঁসির সাজা হোক, সবাই চান। আমি তো প্রথম ফাঁসির দাবি তুলে রাস্তায় নেমেছিলাম। সবাই নেমেছিল। আগের কয়েকটা ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ড শুনিয়েছে আদালত। পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে। তবে বিচারকদের সাজা ঘোষণা করতে একটু সময় লাগে। তাঁদের তো সবদিক খতিয়ে দেখে রায় দিতে হয়।”
গত বছরের ৯ আগস্ট আর জি করের নৃশংস ঘটনার দিন তিনেকের মাথায় সুবিচারের আশ্বাস জোগাতে মৃত চিকিৎসকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন পুলিশকে। চেয়েছিলেন, দ্রুত বিচার হোক। এরপরই অবশ্য আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই। দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীকে ফাঁসি দেওয়ার দাবিতে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী এবং মহিলা তৃণমূলের সদস্যরা। তদন্ত শেষে ১৬৪ দিনের মাথায় সাজা শোনানো হবে দোষী সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। ফাঁসি অথবা যাবজ্জীবন কারাবাসে সাজা হবে তার।
আর এই সাজা ঘোষণার ঠিক আগে সোমবার জেলা সফরে যাওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে আরও একবার সওয়াল করে গেলেন। বললেন, ”সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আমি তো ফাঁসির দাবিতে পথে নেমেছিলাম। অনেকেই ফাঁসির জন্য মিছিল করেছে, আন্দোলন করেছে। রাজ্যে বেশ কয়েকটি মামলায় মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা হয়েছে। পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে। সাজা কী হবে, নির্ভর করছে কীভাবে মামলা সাজানো হয়েছে। সাজা ঘোষণা করতে বিচারকদের একটু সময় লাগে। তাঁদের তো সবদিক খতিয়ে দেখে ঘোষণা করতে হয়।” এদিন চারদিনের সফরে জেলায় রওনা হলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদে সরকারি অনুষ্ঠান সেরে বিকেলেই যাবে মালদহে। এরপর আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার সফর রয়েছে তাঁর।