গোবিন্দ রায়: যোগ্যতার চেয়ে বেশি ডিগ্রি দেখিয়ে প্রাইভেটে চিকিৎসার অভিযোগে আর জি করের আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারকে পুলিশি তলব। সোমবার, বিধাননগর কমিশনারেটে হাজিরার আগেই তলবের বিরোধিতায় কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করলেন আসফাকুল্লা নাইয়া। এদিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন। তবে মামলার শুনানির সময় এখন ও নির্দিষ্ট হয়নি বলেই খবর।
গত সপ্তাহে আসফাকুল্লার কাকদ্বীপের বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি, পরেরদিন তাঁকে নোটিস পাঠিয়ে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তলব, হাজিরার নির্দেশ। ধারাবাহিকভাবে কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হলেন আর জি করের জুনিয়র ডাক্তার আসফাকুল্লা। এর আগে ভুয়ো ডিগ্রির অভিযোগে পুলিশি তদন্তের মুখে পড়েছিলেন তিনি। সেই ঘটনা উল্লেখ করে আদালতে জুনিয়র চিকিৎসকের অভিযোগ, একেবারে বেআইনিভাবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি ডাক্তারিতে উচ্চশিক্ষা করছেন। তাই ভুয়ো ডিগ্রির অভিযোগ অযৌক্তিক। আসফাকুল্লার আরও দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় থানাগুলিতে মামলা দায়ের হয়েছে। ৩০ জন পুলিশ বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে। তাতে আতঙ্কিত পরিবার। এসবের বিরুদ্ধেই আদালতের দ্বারস্থ হলেন আসফাকুল্লা।
কাগজের এক বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়ার নিজের নামের পাশে লেখা M.S (ENT) ডিগ্রি। আর তা ঘিরেই যত বিতর্কের সূত্রপাত। আরও অভিযোগ, প্রাইভেটে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করছেন আসফাকুল্লা নাইয়া, যা নিয়ম বহির্ভূত। এনিয়ে সল্টলেকের ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় অভিযোগ দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। সেই মামলায় আদালতের সমন নিয়ে বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্টে আসফাকুল্লার বাড়িতে পৌঁছেছিল পুলিশ। চলে তল্লাশিও। বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়। এরপর শুক্রবার আসফাকুল্লাকে সমন পাঠায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে তাঁকে পুলিশ কমিশনারেটে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। নোটিসের জবাবে সেদিন ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’কে আসফাকুল্লা জানিয়েছিলেন, তিনি পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। হাজির হবেন কমিশনারেটের দপ্তরে। দরকারে আইনজীবীর পরামর্শও নেবেন। সেই পরামর্শ মেনেই হয়ত এদিন উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার।