• দুপুর ২টো ৪৫-এ সঞ্জয়ের শাস্তি ঘোষণা হবে, জানালেন বিচারক
    এই সময় | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • দুপুর ২টো ৪৫ মিনিটে সঞ্জয় রায়ের শাস্তি ঘোষণা হবে, জানালেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক। সোমবার সাড়ে ১২টা নাগাদ শিয়ালদহ আদালতের ২১০ নম্বর ঘরে শুরু হয় আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়ার ধর্ষণ-খুন মামলায় সাজা ঘোষণা-পর্ব। আদালতে উপস্থিত হন নির্যাতিতার মা, বাবা। আনা হয় দোষী সঞ্জয় রায়কে। বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে আজ সাজা ঘোষণা। একেবারে হাত জোড় করে কাঠগড়ায় ওঠে সঞ্জয়। শনিবার সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারক বলেছিলেন, শাস্তি তাকে পেতেই হবে। তবে একই সঙ্গে জানিয়েছিলেন, সঞ্জয়ের কিছু বলার থাকলে, সোমবার শুনবেন।

    এ দিন শুরুতেই সঞ্জয় নিজের বক্তব্য রাখার সুযোগ পায়। তার দিকে এগিয়ে দেওয়া হয় মাইক্রোফোন। ফের এ দিন সঞ্জয় দাবি করে, ধর্ষণ-খুন সে করেনি। আবারও রুদ্রাক্ষের মালার প্রসঙ্গ তুলে সে বলে, ‘আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি ধর্ষণ করলে, এত কিছু নষ্ট হলো, আমার গলার রুদ্রাক্ষের মালা নষ্ট হতো না? আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে অত্যাচার করেছে। আমাকে কিছু বলতে দেয়নি প্রথমে। যার যা ইচ্ছা করেছে।’

    পাল্টা বিচারক জানান, তিন ঘণ্টা বলার সুযোগ পেয়েছে সঞ্জয়। তার বয়ান রেকর্ডেড। বলেন, ‘যা এভিডেন্স রয়েছে, তা তো আপনার থেকে ভালো কেউ জানে না। আমি এভিডেন্সের উপর বিচার করতে পারি। আর আপনি যে নির্দোষ তা তো আগেও বলেছেন। আপনার শাস্তির বিষয়ে জানতে চাইছি।’ বিচারক জানতে চান, সঞ্জয়ের বাড়িতে কে কে আছে। জবাবে সঞ্জয় জানায়, মা।

    এ দিনও সিবিআই আদালতে জানায়, সঞ্জয় এই ঘটনায় যুক্ত। সর্বোচ্চ শাস্তি পাওয়া উচিত তার। এই ঘটনা বিরল থেকে বিরলতম। সরকারি হাসপাতালে যে ঘটনা ঘটেছে, গোটা দেশ এই মামলার দিকে তাকিয়ে।

    যদিও সঞ্জয়ের আইনজীবী এ দিনও প্রশ্ন তোলেন, কেন এই মামলা বিরল থেকে বিরলতম বলা হচ্ছে? প্রশ্ন করেন, ‘পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের প্রেক্ষিতে কি বিরলতম ঘটনা বলা যায়? মৃত্যুদণ্ড তখনই দেওয়া যায়, যখন সব দরজা বন্ধ হয়ে যায়। সর্বোচ্চ সাজার বিরোধিতা করছি। আদালতের কাছে বিকল্প শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

    নির্যাতিতার আইনজীবী পাল্টা বলেন, ‘অভিযুক্তের যাতায়াত ছিল সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে। তাকে আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে। তার সর্বোচ্চ সাজা চাই।’ সিবিআইয়ের আইনজীবীও বলেন, ‘যদি সর্বোচ্চ সাজা না হয়, তা হলে মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস কাজ করবে না। কেউ নিজের সন্তানকে বাইরে পড়াতে পাঠাবে না।’

  • Link to this news (এই সময়)