আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হওয়া সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদহ আদালত। ইতিমধ্যেই আদালতে পৌঁছে গিয়েছেন আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। তাঁরা মেয়ের ধর্ষক ও খুনির সর্বোচ্চ সাজা চাইছেন। তবে বিচার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়ে যায়নি বলেই মনে করছেন তাঁরা। আইনি লড়াই এবং পথে নেমে আন্দোলন জারি থাকবে বলেও জানিয়েছেন নির্যাতিতার মা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরজি করের নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মা বলেন, ‘সর্বোচ্চ সাজা চাইছি। এ রকম অপরাধী সমাজে ঘুরে বেড়ালে অপরাধ আরও বাড়বে। তবে এখনও বিচার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। তদন্তই শেষ হয়নি। আসল দোষীরা সামনে আসবে। যারা দোষ করেছে, তাদের সবার ফাঁসি হবে। আন্দোলনও জারি থাকবে।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকেই বলছি, সঞ্জয় একা দোষী নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এর মধ্যে জড়িত। সন্দীপ ঘোষ জড়িত। CBI প্রভাবিত হয়েছে।’
সঞ্জয়ের নির্লিপ্ত মনোভাব প্রসঙ্গে নির্যাতিতার মা বলেন, ‘যে খুন করেছে, সে কখনও নিজের দোষ কবুল করে না। যারা মেয়ের দেহ দ্রুত দাহ করার চেষ্টা করছিল, তারা সকলেই জড়িত।’
হাসপাতালের ভিতর থেকেই তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে বলে মনে করছেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা। তাঁর কথায়, ‘আমরা মা-বাবা, কান্নাকাটি করেছি। তবুও আমাদের সেমিনার রুমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।’ যত দিন না পর্যন্ত আসল দোষী সাজা পাচ্ছে, তত দিন লড়াই জারি থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।