• আবার পুলিশের উপর হামলা! উর্দিধারীদের প্রকাশ্যে মারের অভিযোগ কুলতলিতে, ধৃত দুই
    আনন্দবাজার | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • কুলতলি থানা এলাকায় পুলিশকে মারধরের অভিযোগ উঠল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তাঁরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলে অভিযোগ। প্রকাশ্যেই পুলিশকর্মীদের গায়ে হাত তোলেন। অকথ্য ভাষায় পুলিশকে গালাগালিও করেছেন অভিযুক্তেরা। রাতেই তাঁদের গ্রেফতার করে কুলতলি থানার পুলিশ।

    অভিযুক্তেরা হলেন সুখেন দাস এবং স্বপন দাস। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের উত্তর ভাগের বাসিন্দা। রবিবার চার বন্ধু মিলে তাঁরা কৈখালি বেড়াতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যার পর ফেরার সময়ে কুলতলির জামতলা বাজার এলাকায় ঝামেলা হয়। অভিযোগ, রাস্তার উপরে চারচাকা গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা। তাতে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ গাড়ি সরিয়ে নিতে বললে তাদের উপর হামলা করা হয় বলে অভিযোগ।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দু’জনই মত্ত অবস্থায় ছিলেন। রাস্তার উপর থেকে গাড়ি সরিয়ে নিতে বললে পুলিশকে গালিগালাজ শুরু করেন তাঁরা। জামতলা বাজার এলাকায় মেলা চলছিল। ফলে লোক সমাগম অন্যান্য দিনের তুলনায় ছিল বেশি। এর মাঝে পুলিশের সঙ্গে বচসায় এলাকায় যানজট বাড়তে থাকে। অভিযুক্তেরা পুলিশকর্মীদের মারধর করেন বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। পরে অন্য পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন এবং ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যান। থানায় গিয়ে মারধরের কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্তেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। সোমবার দু’জনকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।

    উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে কিছু দিন আগে এক বিচারাধীন খুনের আসামি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। দুই পুলিশকর্মীকে জখম করে আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে যান তিনি। পরে চোপড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পালানোর সময়ে পুলিশের গুলিতে অভিযুক্তের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরপরই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার জানিয়েছিলেন, পুলিশের উপর কোনও রকম আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না। কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। পুলিশের উপর একটা গুলি চালালে পুলিশ পাল্টা চারটে গুলি চালাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)