আরজি করের ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিল শিয়ালদহ আদালত। আর যিনি এই সাজা শোনালেন, তিনি শিয়ালদহ কোর্টের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস। প্রায় ২৫ বছরের কর্মজীবনে একের পর এক পকসো মামলায় উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছেন তিনি। প্রতিটি মামলা নিজের মতো করেই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আরজি কর মামলায় তাঁর রায়দান ও সাজা ঘোষণা গুরুত্বের ভারে নিঃসন্দেহে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক অনির্বাণ দাস কর্মজীবন শুরু করেন মুর্শিদাবাদে আইনজীবী হিসেবে। ১৯৯৯ সালে বিচারক হওয়ার পর কৃষ্ণনগর দেওয়ানি বিচারক হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি। এর পর ধাপে ধাপে কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি হয়েছে তাঁর। বিধাননগরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট বা এসিজেএম হিসাবে কাজ করেছেন।
২০১১ সালে অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক পদে উন্নীত হন, দু’বছর পর জেলা বিচারক ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত হয় তাঁর নাম। শিয়ালদহ কোর্টে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক হিসাবে দু’বছর রয়েছেন তিনি।
শুধু পকসো নয়, বিভিন্ন চুরি-ডাকাতির মামলাও উঠেছে বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে। তবে আরজি করের চিকিৎসক-পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণ মামলা তাঁর এজলাসে ওঠার পর রাতারাতি শিরোনামে উঠে আসেন। বিশেষ করে চার্জ গঠনের পর যখন শেষবেলার বিচারপর্ব শুরু হয়, বারবার তাঁর নির্দেশ এবং পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
শনিবার যখন সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে এই বিচারক বলেছিলেন, ‘শাস্তি আপনাকে পেতেই হবে। সোমবার সাজা ঘোষণা’, তিনি কী রায় দেন, সে দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। সোমবার সঞ্জয় রায়ের বরাতে তিনিই লিখে দিলেন, আমৃত্যু কারাবাসের দণ্ড।