• ‘ক্ষতিপূরণ নয়, বিচার চেয়েছি’, ১৭ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দিতে চাইলেন নির্যাতিতার বাবা, বিচারক বললেন…
    এই সময় | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • ফাঁসি নয়, আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিল শিয়ালদহ আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস জানালেন, এই ঘটনা ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ নয়। মেয়ের ধর্ষক ও খুনির এই সাজা শুনে কী প্রতিক্রিয়া নির্যাতিতার বাবা-মায়ের?

    সোমবার শিয়ালদহ আদালতে সাজা ঘোষণার সময়ে উপস্থিত ছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। রাষ্ট্রকে ১৭ লক্ষ টাকা নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও নির্দেশ দেয় আদালত। কর্মরত অবস্থায় খুন হওয়ার জন্য ১০ লক্ষ এবং যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় আরও সাত লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক। তবে এই টাকা নিতে রাজি হয়নি নির্যাতিতার পরিবার।

    আরজি করের নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা বিচারককে বলেন, ‘আমরা মেয়ের বিচার চাই। ক্ষতিপূরণ চাই না।’। জবাবে ব্যাখ্যা দিয়ে বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, ‘আমি মনে করি না মৃত্যুর কোনও ক্ষতিপূরণ হতে পারে। রাষ্ট্রের দায় আপনার মেয়েকে সুরক্ষিত রাখা। কারণ তিনি ঘটনার সময়ে অন ডিউটি ছিলেন। আইনে এর সংস্থান রয়েছে। এই টাকা নিলে আপনি তা কাজে লাগাতে পারবেন।’

    তবে নিজের কথায় অনড় থেকে নির্যাতিতার বাবা আদালতে দাঁড়িয়ে বার বার বলেছেন, ‘আমরা মেয়ের যথাযথ ন্যায় চেয়েছি। ক্ষতিপূরণ চাই না।’ তাঁকে বুঝিয়ে বিচারক বলেন, ‘আমি যেমন অনুভব করেছি, তেমনটাই নির্দেশ দিয়েছি। আপনারা মনে করলে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন।’

    প্রথম দিন থেকেই মেয়ের উপর হওয়া নৃশংস ঘটনায় সর্বোচ্চ সাজার দাবি করে এসেছেন নির্যাতিতার বাবা-মা। সোমবার সকালেও সাজা ঘোষণার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নির্যাতিতার মা বলেছিলেন, ‘এ রকম অপরাধী সমাজে ঘুরে বেড়ালে অপরাধ আরও বাড়বে।’ বিচার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়ে যায়নি বলেই মনে করছেন তাঁরা। আইনি লড়াই এবং পথে নেমে আন্দোলন জারি থাকবে বলেও জানিয়েছেন নিহত চিকিৎসকের মা। তাঁর সংযোজন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকেই বলছি, সঞ্জয় একা দোষী নয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এর মধ্যে জড়িত। সন্দীপ ঘোষ জড়িত। CBI প্রভাবিত হয়েছে।’

  • Link to this news (এই সময়)