এই সময়, বারাসত: ভুয়ো জাল নথি কাণ্ডে বারাসতে এ বার গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা। ধৃতের নাম ইন্দ্রজিৎ দে। গত পুরসভা নির্বাচনে বারাসত পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে জাল নথি বানিয়ে এ দেশে আশ্রয় দেওয়ায় অভিযোগে ইন্দ্রজিৎ গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই বিজেপিকে বিঁধতে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জাল পাসপোর্ট–সহ ভুয়ো নথি বানানোর তদন্তে নেমে শনিবার রাতে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তরুণপল্লির বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে ইন্দ্রজিতকে গ্রেপ্তার করে বারাসত থানার পুলিশ। গত শুক্রবার বারাসতের নবপল্লি এলাকা থেকেই জ্যোতির্ময় দে নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। বাংলাদেশি ওই অনুপ্রবেশকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ইন্দ্রজিতের হদিশ পায়। পুলিশ আরও জানতে পারে, খুলনার বাসিন্দা জ্যোতির্ময় এ দেশে আসার পর পরিচয়পত্র–সহ পাসপোর্ট তৈরি করে দিয়েছিল এই ইন্দ্রজিৎ।
এ দেশে এসে নবপল্লিতে থাকতে শুরু করেছিলেন জ্যোতির্ময়। তাঁর পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বাংলাদেশে ফিরে যাননি। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের মোটা টাকার বিনিময়ে ভুয়ো পাসপোর্ট বানানোর কাজও ইন্দ্রজিৎ করত। শুধু তাই নয়। ভোটার, আধার, প্যান কার্ডের মতো যাবতীয় পরিচয়পত্র বেআইনি ভাবে তৈরি করে দিত এই বিজেপি নেতা। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় আগে ধৃত সমীর দাসের সাথে জ্যোতির্ময় এবং ইন্দ্রজিতের সখ্যতাও ছিল। ফলে একটা চক্র যে এই অবৈধ কাজকর্ম করছিল, তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও এখনও কারা, কারা এই চক্রের সাথে যুক্ত, তার অনুসন্ধান করছে পুলিশ। রবিবার ধৃত বিজেপি নেতাকে বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারপতি তাঁকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের এক কর্তা জানান, ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হচ্ছে। এ দিকে, অনুপ্রবেশ ইস্যুতে বিজেপি নেতা গ্রেপ্তার হওয়ায় শাসক শিবির থেকে যখন বিজেপিকে বিঁধতে ছাড়ছে না, তখন বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। নিতান্তই ওটা ওঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।’