• বাংলাদেশ ইস্যুতে প্ররোচনায় পা না দেওয়ার অনুরোধ মুখ্যমন্ত্রীর, আশা এবং আইসিডিএস কর্মীদের মোবাইলের আশ্বাস
    আজকাল | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু করতেই কিছুকিছু এলাকায় বাংলাদেশিদের তরফে সেই কাজে বাধা দেওয়ারও অভিযোগ সামনে এসেছে। এই আবহে সোমবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের লালবাগ শহরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যবাসীকে কোনও রকম প্ররোচনায় পা না দেওয়ার অনুরোধ করলেন।

    গত কয়েকদিন আগে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার সুখদেবপুর  গ্রামে বাংলাদেশের নাগরিকরা জোর করে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে ঢুকে চাষীদের শস্য কেটে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। শস্য কেটে নিয়ে যাওয়া আটকাতে সুখদেবপুরে দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে ঢিল ছোড়াছুড়িও হয়। বাংলাদেশের নাগরিকরা সেই সময় বেশ কয়েকটি বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে।  সোমবার লালবাগের নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশনের মাঠে প্রশাসনিক সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''মুর্শিদাবাদ জেলায় বাংলাদেশের বড় সীমান্ত রয়েছে। সীমান্ত এলাকা বিএসএফ দেখুক। আমাদের উপর (পড়ুন রাজ্যের কোনও নাগরিক) অত্যাচার হলে আমরা দেখে নেব। কিন্তু কারও প্ররোচনায় পা দিয়ে দয়া করে ওদিকে (পড়ুন বাংলাদেশে) যাবেন না।'' তিনি আরও বলেন, ''অনেকেরই পরিকল্পনা করছে এইভাবে দুই দেশের মধ্যে গন্ডগোল-দাঙ্গা লাগিয়ে দিয়ে সরে আসার।''

    মমতা আরও বলেন, ''আমি চাই সীমান্ত এলাকার শান্তিরক্ষার বিষয়টি বিএসএফ দেখুক। তেমন প্রয়োজন হলে আমাদের পুলিশ বাহিনী সীমান্ত এলাকায় দূর থেকে মাইকিং করে মানুষকে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। প্রশাসনের কাজ প্রশাসন করবে, আপনারা কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।''

    অন্যদিকে রাজ্যের সরকারি স্কুলের একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি এবার কাজের সুবিধার জন্য মোবাইল ফোন পেতে চলেছেন রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কর্মরত কয়েক হাজার আইসিডিএস এবং আশাকর্মী। সোমবারের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ''আশাকর্মীদের ফোন দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই দরপত্র ডাকা হয়ে গিয়েছে।'' আইসিডিএস কর্মীদেরকেও মোবাইল ফোন দেওয়ার জন্য মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''মুর্শিদাবাদ জেলায় বিড়ি শ্রমিকদের জন্য একটি ভাল হাসপাতাল করতে চাই।'' আগামী দু'বছরের মধ্যে সেই হাসপাতাল তৈরি হবে বলে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে ৪৭ লক্ষ বাংলার বাড়ি তৈরি হয়েছে। রাজ্যের এই প্রকল্পে আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নতুন করে ১৬ লক্ষ মানুষ বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির টাকা পাবেন। এছাড়া ২০০ বছর পদার্পণ করায় মুখ্যমন্ত্রী আজ নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশন বিদ্যালয়কে ২৫ লক্ষ টাকা অনুদান মঞ্জুর করেন।
  • Link to this news (আজকাল)