• 'শুধু সন্তানের মেধা থাকলেই হবে না...' হতাশা উগরে দিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা
    আজ তক | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • মৃত্যুদণ্ড হল না সঞ্জয় রায়ের। তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত। আদালতের এই সাজায় সন্তুষ্ট নন নির্যাতিতার মা-বাবা। সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা বলেন, 'আমরা চেয়েছিলাম প্রকৃত দোষীরা ধরা পড়ুক। তারপর সব অপরাধীর সাজা হোক। আমরা আজ বিচার পাইনি। এই যে আজ বিচারক বললেন এটা বিরল ঘটনা নয়। কিন্তু আমি মনে করি আমার মেয়ে একটি সরকারি হাসপাতালে কর্তৃব্য়রত অবস্থায় ছিল। সিবিআই প্রমাণ করতে পারল না যে এটা বিরল ঘটনা। সিবিআই-এর তদন্তে ফাঁক আছে বলেই এমন হল। এটি সিবিআই-এর ব্যর্থতা।'
    এদিন রাষ্ট্রকে(State) নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর আদালতে নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা জানান, 'আমরা কোনও আর্থিক ক্ষতিপূরণ চাইনি। আমরা মেয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়েছি।' এর উত্তরে বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, 'আমি জানি আপনারা ক্ষতিপূরণ চাননি। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটায় আইনের বিধি অনুযায়ী এই ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেওয়া হল। ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে কী করবেন, সেটা আপনাদের ব্যক্তিগত বিষয়।'

    এদিন এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিহত চিকিৎসকের মা বলেন, 'কোনও আর্থিক সাহায্যেই এর ক্ষতিপূরণ হয় না। কোনও টাকাতেই আমার মেয়েকে যে হারিয়েছি তার ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। ভগবান যে ডায়মন্ড আমাকে দিয়েছিলেন, আমি তা হারিয়েছি। সমাজ আমাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, শুধু সন্তানের মেধা থাকলেই যথেষ্ট নয়, তার বাবা-মাকে প্রভাবশালীও হতে হবে।'

    একা সঞ্জয়ের সাজা নিয়েও তিনি ভাবছেন না বলে ফের মনে করিয়ে দিলেন নির্যাতিতার মা। তিনি বলেন, 'একা সঞ্জয় আমার মেয়েকে হত্যা করেনি। এর সঙ্গে জড়িত আরও দোষীদের শাস্তি চাই।'
    উল্লেখ্য, এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী এটিকে 'বিরলের মধ্যে বিরলতম' আখ্যা দিয়ে সর্বোচ্চ সাজা, অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেন। একই দাবি করেন নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী। সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, 'বিরলের থেকে বিরলতম কেসেও মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও, অন্য সাজার নিদর্শন রয়েছে।'
    এরপর দুপুর পৌনে ৩টে থেকে সাজা ঘোষণা শুরু করে আদালত। সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ও ১০৩ নম্বর ধারায় যাবজ্জীবন এবং ৬৬ নম্বর ধারায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (আজ তক)