• কেন ফাঁসি হল না সঞ্জয় রায়ের? বিচারক যা জানালেন
    আজ তক | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের কী সাজা হবে তার দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ ও রাজ্য। সিবিআই-এর আইনজীবী, নিহত তরুণীর চিকিৎসক, নিহতের পরিবার বিচারকের কাছে আবেদন করেছিলেন, সঞ্জয় রায়ের যেন ফাঁসির সাজা হয়। তবে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজা হল না। 

    শিয়ালদা কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাসের নির্দেশ, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করতে হবে সঞ্জয় রায়কে। কেন ফাঁসির সাজা দেওয়া হল না সঞ্জয়কে তাও পরিষ্কার করে দেন বিচারক। তিনি বলেন, এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে তিনি মনে করছেন না। সেজন্য আমৃত্যু কারাবাসের সাজা ঘোষণা করা হল। এদিকে সাজা শোনানোর পর বিচারক সঞ্জয়কে লক্ষ্য করে বলেন, 'আমৃত্যু কারাবাসে থাকতে হবে আপনাকে।' 

    যদিও আজই সাজা ঘোষণার আগে যখন শুনানি শুরু হয়, তখন বিচারপতির কাছে সঞ্জয় রায়ের সর্বোচ্চ সাজার আবেদন করেছিলেন সিবিআই-এর আইনজীবীরা। তাঁদের তরফে আদালতে বলা হয়, 'টানা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করছিলেন সেই জুনিয়র ডাক্তার। সঞ্জয় রায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। সে কলকাতা পুলিশের একজন কর্মী। তার রক্ষা করা কর্তব্য। কিন্তু তা না করে সে তরুণীকে ধর্ষণ ও খুন করেছে। তাই এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। সঞ্জয়কে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হোক।' 

    প্রসঙ্গত, এর আগে শনিবারই সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল শিয়ালদা আদালত। সোমবার সাজা ঘোষণা হবে। জানিয়েছিল আদালত। সেই মতো এদিন সকাল ১০.৩৬ নাগাদ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বের করে শিয়ালদা আদালতে আনা হয় সঞ্জয় রায়কে। আদালতের আশেপাশের এলাকায় ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা। পূর্ব নির্ধারিত সময়, দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সঞ্জয় রায়কে কোর্ট লকআপ থেকে এজলাসে আনার নির্দেশ দেন বিচারক। এরপর প্রথমে সঞ্জয়ের বক্তব্য, অর্থাৎ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেন বিচারক। 

    সঞ্জয় বিচারককে জানায়, সে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। অনেক কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও বিচারক সাফ জানিয়ে দেন, তিনি সঞ্জয়কে দোষী হিসেবে পেয়েছেন। তাই সাজা ঘোষণা করবেন।
  • Link to this news (আজ তক)