• সঞ্জয়ের বক্তব্য শেষ, আদালতে ঠিক কে কী বললেন? রইল পুরো শুনানি
    আজ তক | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • আরজি কর মামলার সাজা ঘোষণার আগে দোষী সঞ্জয় রায় সহ সব পক্ষের বক্তব্য শুনলেন শিয়ালদা কোর্টের বিচারক অনির্বাণ দাস। আজ অর্থাত্‍ সোমবার শিয়ালদা কোর্টে প্রথমে দোষী সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য শোনেন বিচারক। তার প্রেক্ষিতে সিবিআই ও নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবীরও বক্তব্য শোনেন তিনি। ঠিক কী হল এজলাসে? রইল সব পক্ষের সওয়াল জবাব।

    বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে দোষী সঞ্জয় রায়কে এজলাসে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সঞ্জয় কাঠগড়ায় উঠল। বিচারক বললেন, আপনার কিছু বলার থাকলে বলুন।

    সঞ্জয়: হুজুর, আমাকে বিনা দোষে ফাঁসানো হয়েছে। এটি আমি আগেও বলেছি। আমি সর্বদা একটি রুদ্রাক্ষের মালা পরি, আমি যদি অপরাধ করতাম, তাহলে ঘটনাস্থলে রুদ্রাক্ষের মালার ছেঁড়া অংশ পাওয়া যেত ধস্তাধস্তির জেরে। আমাকে কিছু বলতেই দেওয়া হয়নি। ওরা আমায় জোর করে অনেক কাগজে সই করিয়েছে। আমি সব কিছু দেখেছি স্যর।

    CBI-এর আইনজীবী: হুজুর, এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা। নির্যাতিতা দুর্দান্ত ছাত্রী ছিলেন, সমাজের সম্পদ ছিলেন। এই ঘটনা গোটা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। মা-বাবা তাঁদের কন্যাকে হারিয়েছেন। যদি ডাক্তাররাই নিরাপদ না থাকেন, আর কী বলার? একমাত্র মৃত্যুদণ্ড দিলেই সমাজের আস্থা বাড়বে। আমাদের সমাজের আস্থা ফেরাতে হবে। 

    সঞ্জয়ের রায়ের আইনজীবী: এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম নয় হুজুর। আমি আপনাকে রেফারেন্স দিতে পারি। মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। দয়া করে মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প কোনও শাস্তি দেওয়া হোক। এটাই আমাদের বিনীত অনুরোধ।   

    নির্যাতিতার আইনজীবী: কোর্টে সঞ্জয় দোষী প্রমাণিত হয়েছে। আমরা ওর মৃত্যুদণ্ড চাইছি। যদি এই রকম একজন অপরাধী বোঝে, তাকে মরতে হবে, তবেই অনুতাপ বোধ করবে। আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। 

    এরপরেই সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক জানান, দুপুর পৌনে ৩টেয় সাজা শোনানো হবে। আপাতত এজলাস মুলতুবি।
  • Link to this news (আজ তক)