জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডে শনিবার প্রায় ৫ মাসের বেশি সময় পর দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদহ আদালত। তারপর সোমবার বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে সাজা ঘোষণা হয়। সেখানেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১)— এই তিনটি ধারার উপর ভিত্তি করে শেষমেশ আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক অনির্বাণ দাস। সঙ্গে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিচারক বলেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার।’
আরজি কর-কাণ্ডে রায় শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে তিনি দোষীর ফাঁসি চেয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রথমদিন থেকেই ফাঁসির দাবি করে এসেছিলাম। এবং আজও আমরা সেই দাবিতেই অনড়। কিন্তু আদালতের রায় নিয়ে সেই বিষয়ে কী বলবেন জানিনা। আমার দলের কথা বলতে পারি। আমরা তিনটে কেসে ৫৪ দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে আমরা ফাঁসি অর্ডার করিয়ে দিয়েছি। আমরা এটাই বলেছিলাম। আমাদের হাতে মামলা থাকলে অনেক আগেই ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিতাম। আমাদের হাত থেকে কেসটা ইচ্ছা করে নিয়ে নেওয়া হল।'
সাজা ঘোষণার আগে ফের বিস্ফোরক আর্তি করে সঞ্জয় বলে, "আমি খুন বা ধর্ষণ কোনওটাই করিনি। বিনা কারণে ফাঁসানো হয়েছে। আমি যদি ধর্ষণ-খুন করে থাকতাম, তাহলে কি রুদ্রাক্ষের মালা নষ্ট হত না? আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। পুলিসের কাছ থেকে যখন সিবিআই-এর কাছে যাই। আমি কিছু করিনি।"