দেবব্রত ঘোষ: আরজি কর ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আজ থেকে শুরু হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফর। আজ জেলা সফরে মুর্শিদাবাদ উড়ে যাওয়ার আগে ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, এই মামলার সুবিচার চাই। সাজা সম্পর্কে আগে থেকে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির পক্ষে সোচ্চার হন মুখ্যমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে সম্প্রতি পর পর ৩টি ধর্ষণ-খুন মামলায় আদালতের ফাঁসির নির্দেশের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এজন্য পুলিস ও বিচারকদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরজি করের ট্রেইনি চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় প্রথম থেকেই ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ফাঁসির দাবিতে মিছিলও করেছিলেন তিনি। ১৮ জুন আরজি কর ধর্ষণ ও খুন মামলায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদহ আদালত। বিচারক অনির্বাণ দাস এই রায় দান করেন। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬, ১০৩(১) ধারায় দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়। যদিও রায় ঘোষণার পরই বিস্ফোরক দাবি করে সঞ্জয়। সে চিৎকার করে বলতে থাকে, 'আমি নির্দোষ'। আরও দাবি করে, 'আমার গলায় যে রুদ্রাক্ষের মালা রয়েছে। আমি সেটা করলে রুদ্রাক্ষ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যেত।' যদিও বিচারক দাস জানান, 'সিবিআইয়ের তরফ থেকে যে তথ্য প্রমাণ দেওয়া হয়েছে। তাতে সঞ্জয় দোষী। আর তার উপর নির্ভর করেই সঞ্জয় রায় আজ দোষী সাব্যস্ত হল।'
এখন যে ৩টি ধারা আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয়ের উপর রয়েছে, তাতে তার ফাঁসির সাজাও হতে পারে। সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজপথে নেমেছিল আমজনতা। শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাসও জানিয়েছেন যে, যে যে ধারায় সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তাতে তার ফাঁস পর্যন্ত হতে পারে। আর দোষী সঞ্জয়কে ফাঁসি দিতে 'আমার হাত কাঁপবে না,' বলছেন মহাদেব মল্লিক। প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের ফাঁসির সময় বাবা নাটা মল্লিকের সহকারী হিসাবে ছিলেন পুত্র মহাদেব মল্লিক।