রাজীব চক্রবর্তী: আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্য়ু কারাবাসের নির্দেশ দিল শিয়ালদহ আদালত। দোষীর অপরাধ বিরল থেকে বিরলতম নয়। ওই রায় নিয়ে রাজ্যের অনেক বিরোধী নেতা খুশি নন। এনিয়ে সরব হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন নিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, ঘটনাচক্রে যিনি বিচারক তিনি বহরমপুরের মানুষ। তাঁর মনে হয়েছে, যাবজ্জীবন হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড হয়নি। এর জন্য অতৃপ্তি কাজ করছে। বিচারককে দোষ দেওয়া যায় না। তদন্ত থেকে সর্বত্র অপেশাদারিত্বের ছাপ। অনেকে জড়িয়ে রয়েছে।
নিম্ন আদালতে দোষীর যাবজ্জীবন হয়েছে। আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও বলেছেন তাঁরা ফাঁসি চেয়েছিলেন। আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে অনেকেই ফাঁসির দাবি করেন। এনিয়ে বলতে গিয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, রাজ্য সরকার মনে করলে ফাঁসি চেয়ে উচ্চ আদালতে যেতে পারে। চোরদের বাঁচাতে রাজ্য সরকার কথায় কথায় সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। শিয়ালদহ নিম্ন আদালত। রাজ্য সরকার স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে হাইকোর্টে যেতে পারে। এটা সিবিআই, সিআইডির লড়াই নয়। চালাকি করছে রাজ্য সরকার। বিরোধী শিবিরে থাকার সময় সিবিআই চাইতেন মুখ্যমন্ত্রী।
অধীর চৌধুরী আরও বলেন সিবিআই সেভাবে সক্রিয় হয়নি। রাজ্য পুলিসও ব্যর্থ। এই কেসে কোটি কোটি টাকার খেলা আছে। প্রভাবশালী আছেন।
উল্লেখ্য়, আরজি কর ঘটনায় রায় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রায় শুনে তিনি বলেন, একজন ডাক্তারকে হত্য়া করার পর দোষীকে আজীবন কারাদণ্ড! এরপর হয়তো কোনওভাবে ছাড়া পেয়ে যাবে। কী চলছে এটা! এতবড় ঘটনাকে চাপা দিয়ে নিজেদের লোককে বাঁচিয়ে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছু বজ্জাত নেতা হয়ে আন্দোলনে নেমেছিল। এখন মডেলিং করছেন। একটা মেয়ের মৃত্যু নিয়ে ব্য়বসা হল।