গঙ্গাভাঙন রোধে কেন্দ্রকে দুষে মুর্শিদাবাদ থেকে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ মুখ্যমন্ত্রীর
প্রতিদিন | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঙনের অভিশাপ নিত্যসঙ্গী মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীর। গঙ্গাপাড়ের ভাঙনে ফি বছর বর্ষার মরশুমে প্রচুর কাঁচা বাড়ি তলিয়ে যায়। এই সমস্যা সমধানে গঙ্গাভাঙন রোধের জন্য একাধিকবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এক্ষেত্রেও সেই ‘বঞ্চনা’ই প্রাপ্তি হয়েছে বলে ফের অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মুর্শিদাবাদ সফরে প্রশাসনিক পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ তুলে তিনি ঘোষণা করলেন, গঙ্গাভাঙন রোধে কাজ করবে রাজ্য সরকারই। ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল তার জন্য।
বছরের প্রথমে ২০ জানুয়ারি অর্থাৎ সোমবার থেকে চারদিনের জেলা সফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন মুর্শিদাবাদের লালবাগের নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশনে সরকারি পরিষেবা প্রদান করেন তিনি। সেখান থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগে সরব হলেন মমতা। গঙ্গাভাঙনের সমস্যার কথা উল্লেখ করে তাঁর মন্তব্য, ”নদীর পাড় ভাঙনে কত ক্ষতি হয় এই জেলার মানুষের। বাড়ি ভেঙে যায় প্রতি বছর। এটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। কেন্দ্রকে বারবার বলা হয়েছে গঙ্গাভাঙন রোধে টাকা দেওয়ার জন্য। কিন্তু বাংলাকে শুধু বঞ্চনা আর বঞ্চনা করা হয়েছে। বন্যার সময়, ভাঙনের সময় কেউ ফিরেও দেখে না। তাই বলছি, আমরাই সেই কাজ করে দেব। ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল ভাঙন রোধের জন্য। এই টাকায় কাজ হবে।”
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে মমতার কথায় উঠে এল ২০২৩ সালে একশো দিনের কাজের টাকার দাবিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের দিল্লি অভিযানের কথা। সেবার তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েও হাজির ছিলেন না কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। উলটে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে কৃষি ভবনে ঢুকতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন অভিষেক, দোলা, বীরবাহারা। টেনেহিঁচড়ে তাঁদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ”একটা রাজ্যের চুনোপুঁটি মন্ত্রী। আমাদের প্রতিনিধিদের সময় দিয়েও দেখা করেননি। মানুষের জন্য লড়াই করতে গিয়ে অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছে। আর যে পুলিশ করল, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হল না।”