সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভয়া কাণ্ড বিরলতম নয়, এই মন্তব্য করেই ধর্ষক সঞ্জয়কে আমৃত্যু জেলে সাজা দিয়েছেন শিয়ালদহ আদালত। কেন মৃত্যুদণ্ড নয়? এই প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্নমহল। এরই মাঝে কার্যত সঞ্জয়ের ‘পাশে দাঁড়ালেন’ সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বলেলন, “বিচারক যা শাস্তি দিয়েছেন তা যথেষ্ট কঠিন। মৃত্যুদণ্ড থাকাই উচিত নয়।”
গত আগস্ট থেকে আর জি কর কাণ্ডে উত্তাল বাংলা। পথে নেমেছিল সকল রাজনৈতিক দল। সেই সময় বারবার তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন, বাম ও কিছু অতিবাম সংগঠন এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে। যার জেরে আদতে বিচার প্রক্রিয়ায় জটিলতা বেড়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। সিবিআইয়ের বদলে তদন্তভার কলকাতা পুলিশের হাতে থাকলে দ্রুত বিচার হত বলেও মন্তব্য করেছিলেন কুণাল। এদিন সঞ্জয়ের আমৃত্যু জেল নিয়ে বামনেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মন্তব্যে সেই ইস্যু জিইয়ে রাখার চেষ্টার অভিযোগই কার্যত জোরালো হচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। কারণ, অভয়া কাণ্ডে একাধিক জন জড়িত বলে বারবার দাবি করা হয়েছে
ঠিকই। তবে তাদের মধ্যেই একজন যে সঞ্জয় রায়, তাতে কারও সংশয় ছিল না। ফলে বাকিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির পাশাপাশি সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজাই চেয়েছিল সবমহল। কিন্তু অভয়া কাণ্ড বিরলতম নয় বলে মন্তব্য করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে বিচারক। যা গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
কিন্তু বামনেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের গলায় অন্য সুর। তিনি বললেন, “এটা স্বাভাবিক রায়। বিচারপতি আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। এটা যথেষ্ঠ কঠিন। মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে ঠিকই করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “মৃত্যুদণ্ড থাকাই উচিত নয়। বিচারক সমস্ত তথ্য প্রমাণ দেখেই এই রায় দিয়েছেন।” বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের এই মন্তব্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহল। উল্লেখ্য, এই সাজা প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেছেন, “কলকাতা পুলিশ কাজ করেছে। সঞ্জয় দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। কিন্তু তারপরও আইনের অনেক ভাগ রয়েছে। মহামান্য কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা তার বিষয়। এবিষয়ে আমি কিছু বলব না।” তবে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন,মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন অপরাধীর ফাঁসি হোক।