• গোয়ালপোখর এনকাউন্টারে হাই কোর্টে মামলা, আগামী সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা
    প্রতিদিন | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের এনকাউন্টারের ঘটনার জল গড়াল কলকাতা হাই কোর্টে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইনজীবী তাপস ভঞ্জ। ন্যাশনাল পুলিশ কমিশনের গাইডলাইন অনুযায়ী, পুলিশের হাতে যদি বন্দি নিরাপদ না হয় সেক্ষেত্রে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হবে, এই যুক্তিতে মামলার আবেদন।

    সোমবার মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। জানান, অতিরিক্ত হলফনামা দিয়ে ওই বিষয়ে নির্দিষ্ট বেঞ্চে আবেদন জানানো যাবে। চলতি সপ্তাহে ওই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। তবে জেল ইস্যুতে অন্য ডিভিশন বেঞ্চে একটি মামলা চলছে। তাই সেখানে শুনানি হবে নাকি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে, তা স্পষ্ট নয়।

    উল্লেখ্য, গত ১৫ জানুয়ারি, ইসলামপুর আদালতে শুনানিতে হাজির করা হয় সাজ্জাক আলমকে। শুনানি শেষে প্রিজন ভ্যানে করে রায়গঞ্জ কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাকে। গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ার একরচালা কালীমন্দিরের কাছে শৌচকর্ম করবে বলে জানায়। প্রিজন ভ্যান থেকে নামে। অভিযোগ, প্রিজন ভ্যান থেকে নেমে দুই পুলিশকর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এরপর একটি বাইকে চড়ে চম্পট দেয়। রায়গঞ্জ পুলিশ সুপার সাজ্জাকের ২ লক্ষ টাকা মাথার দাম ধার্য করে। বৃহস্পতিবার জখম দুই পুলিশকর্মীকে দেখতে যান খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাজ্জাককে গ্রেপ্তার করতে হবে বলেই নির্দেশ দেন। পুলিশের উপর গুলি চালালে পালটা তার ৪ গুণ গুলি চালানো হবে বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডিজি।

    তার মাত্র দুদিন পর শনিবার সকালে সাজ্জাক গোয়ালপোখর থানার সাহাপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুরে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে বলেই গোপন সূত্রে খবর পায় পুলিশ। সেই মতো তড়িঘড়ি ওই এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। তা বুঝে যায় সাজ্জাক। কিচকতলা ব্রিজের কাছে পুলিশ তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। সাজ্জাক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পালটা আত্মরক্ষায় গুলি চালায় পুলিশ। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে মৃত্যু হয় সাজ্জাকের। রবিবার সাজ্জাককে অস্ত্র সরবরাহকারী সন্দেহে শেখ হজরতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)