• সঞ্জয়ই ‘নির্যাতিত’, ফাঁসি না হলেও হাইকোর্টে মামলার পথে আরজি করের ধর্ষক ও খুনি
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • সঞ্জয় রায়ই 'নির্যাতিত'। শিয়ালদা কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে মামলা করবেন বলে জানালেন আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয়ের আইনজীবী। সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার সঞ্জয়ের আইনজীবী সেঁজুতি চক্রবর্তী দাবি করেছেন, নিম্ন আদালত যে রায় দিয়েছে, তার বিরুদ্ধে সঞ্জয়ের হাইকোর্টে মামলা করার অধিকার রয়েছে। আরজি কর মামলায় সঞ্জয় যাতে বেকসুর খালাস হয়, সেই চেষ্টা করা হবে। তবে ঠিক কবে হাইকোর্টে সেই আবেদন জানানো হবে, সে বিষয়ে তিনি কিছু খোলসা করেননি।

    এমনিতে আরজি কর মামলায় সোমবার সঞ্জয়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ ধারা, ৬৬ ধারা এবং ১০৩ ধারায় দোষীাসাব্যস্ত করা হলেও আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে সঞ্জয়কে। মৃত্যুদণ্ডের সাজা না দেওয়া হওয়ায় অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।


    সঞ্জয়কে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়নি বলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। মুর্শিদাবাদ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা প্রথম দিন থেকেই ফাঁসির দাবি করে এসেছিলাম। আজও আমরা সেই দাবিতে অনড় আছি। কিন্তু আদালতের রায় এটা।’ সেইসঙ্গে তিনি জানান, অত্যন্ত ‘সিরিয়াস’ কেস ছিল। সকলেই ফাঁসির পক্ষে ছিলেন। কলকাতা পুলিশের হাতে তদন্তভার থাকলে অনেকদিন আগেই ফাঁস হয়ে যেত বলে দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।


    জেলা সফরের মধ্যেই মমতা আরও বলেন, ‘এই নরপিশাচদের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। , সেটা আমি বলতে পারব না। আইনজীবী হিসেবে আমি বলছি। আমি তো বিস্তারিত কাগজপত্র দেখিনি। কিন্তু আমি সন্তুষ্ট নই। কারণ ফাঁসি হলে আমি অন্তত মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।’


    যদিও সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আরজি করের নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা। তিনি দাবি করেন, তাঁর মেয়েকে হাসপাতালের মধ্যে কর্মরত অবস্থায় ধর্ষণ করে হত্যা করা হল। অথচ সেটা 'বিরল থেকে বিরলতম' অপরাধ নয়? পুরোটাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ব্যর্থতা। সিবিআই প্রমাণ করতে পারল না যে তাঁর মেয়ের সঙ্গে যা ঘটেছে, সেটা 'বিরল থেকে বিরলতম' অপরাধ নয়?
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)