• 'বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেন না…' সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের পরে কী বললেন সুকান্ত?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক। ফাঁসি নয়, আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। এনিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার?

    সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, কোর্টের নির্দেশের উপর আমরা কিছু বলতে পারি না। আমরা চাইছিলাম সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। তবে সেই শাস্তি হয়নি। কোর্টের রায় সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারব না। ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টাকায় কী হবে! 

    সুকান্ত মজুমদার বলেন, বাংলার মানুষ বিশ্বাস করেন না যে সঞ্জয় রায় একলা ছিলেন। কোর্টের রায়ের সম্পর্কে আমি কিছু বলব না। তবে মনে হয় আরও তদন্তের প্রয়োজন। 

    এদিকে আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। তবে তাঁদের অনেকেরই মতে, একলা সঞ্জয় এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন এমনটা হতে পারে না। এই ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কারা জড়িত সেটা প্রকাশ্য়ে আসুক। 

    এদিকে গোটা দেশ থেকে দাবি উঠছিল সঞ্জয়ের ফাঁসি হোক। তবে আদালত অবশ্য় তার ফাঁসির নির্দেশ দেয়নি। তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ক্ষতিপূরণ নয়, আমরা বিচার চাই। 

    এদিকে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, আরজি করের ঘটনা পৈশাচিক ঘটনা। মুখ্য়মন্ত্রী প্রথম থেকেই ফাঁসি চেয়েছিলেন। কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। দোষটা প্রমাণিত হয়েছে। দোষীকে কী শাস্তি দেওয়া হবে সেটা বিচারকের সিদ্ধান্ত। তিনি ফাঁসির রায় দেননি। আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। তবে এর আগে কয়েকটি ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত করছিল। সেখানে বিচারপতি ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছেন। তবে আরজি করের ক্ষেত্রে আমরা ফাঁসিই চেয়েছিলাম। 

    বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, গোটা দেশের মতোই বিচারপতির মনেও হয়তো এটাই ছিল যে একা সঞ্জয় রায় এই ঘটনা ঘটাতে পারেননি। যারা প্রমাণ লোপাট করল তারা কোথায়? এটা প্রাতিষ্ঠানিক খুন। যারা তদন্ত করছে তারা বুঝবেন সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে কী থাকে। 

    এদিকে এদিন রায় ঘোষণার পরেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, আমরা বার বার শপথ নিয়েছি অভয়াদের সম্মান দেওয়া, অভয়াদের কর্মস্থলে নিরাপদে কাজের পরিবেশ তৈরি করার যে শপথ নিয়েছি সেটা বজায় থাকবে। লড়াই আন্দোলন চলবে। আরও উচ্চতর আদালতে যাব।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)