সোমবার আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে শিয়ালদহ আদালত। এ দিন বিকেলে এক নাবালিকার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার এলাকার একটি গ্রামে। এই গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক নাবালিকা ১২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল। তার পরিবার বাসন্তী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল। কিন্তু তার পরেও নাবালিকার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের তরফে ব্যক্তিগতভাবেও খোঁজ শুরু করা হয়। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়।
২০ জানুয়ারি বিকেলে ওই গ্রাম লাগোয়া একটি মাঠের মধ্যে উদ্ধার হয় নাবালিকার বিবস্ত্র দেহ। গ্রামবাসী এবং নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। তার পর মাঠের মধ্যে দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় কয়েকজন যুবকই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ পরিবারের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাসন্তী থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছে গ্রামবাসীরা। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ দেহ নিয়ে যেতে চাইলেও পথ আটকায় স্থানীয়রা। ব্যাপক বিক্ষোভের জেরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা। এলাকাবাসীর দাবি, পুলিশ নিখোঁজের অভিযোগ পাওয়ার পরেও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়নি।
পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
এই ঘটনায় পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি জানান, ৯ তারিখ থেকে মেয়েটি নিখোঁজ ছিল। ১২ তারিখ পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মিসিং ডাইরি করা হয়েছিল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।