মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাসপেনশন তুলে নেওয়ার জন্য সরাসরি চিঠি পাঠালেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের সাত জন জুনিয়র চিকিৎসক। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার পরেই মোট ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কলেজে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে আসছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। উল্লেখ্য, সাত পিজিটি-ই মেদিনীপুর মেডিক্যালের উপাধ্যক্ষের পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন এবং সিআইডি-কে চিঠি লিখে তাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছেন।
জুনিয়র চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, জুনিয়র ডাক্তাররা মিলিতভাবে DME, DHS, NMC-র কাছে আবেদন জানানোর পরেও সাসপেন্ডেড চিকিৎসকরা আলাদা করে সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘জুনিয়র চিকিৎসক বা পিজিটি-রা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। সেখানে কোনওরকম শোকজ় ছাড়া এই সাসপেনশন একেবারেই অপ্রত্যাশিত।’
মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দীও বলেন, ‘ওঁরা (সাসপেন্ডেড ৭ জুনিয়র চিকিৎসক) মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন।’ প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় যে সাত জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা হলেন, শ্বেতা সিং, পূজা সাহা, সুশান্ত মণ্ডল, মৌমিতা মণ্ডল ও ভাগ্যশ্রী কুণ্ডু—সকলেই প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিভাগের পিজিটি এবং জাগৃতি ঘোষ ও মণীশ কুমার অ্যানাস্থেশিয়া বিভাগের পিজিটি।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের পাঁচ প্রসূতির সিজ়ার করা হয়। মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। সিজ়ারের সময় কোনও সিনিয়র ডাক্তার ছিলেন না কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাসপেন্ডেড চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত চলছে।