প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে সোমবার দুপুরে ফের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যায় সিআইডি-র ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এ দিন প্রথমে মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মৌসুমি নন্দীর সঙ্গে দেখা করেন তদন্তকারীরা। এর পর নবনিযুক্ত সুপার ইন্দ্রনীল সেনের অফিসে যান। প্রিন্সিপাল এবং সুপারের থেকে এ দিন আরও নথি সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি তদন্তকারীরা যান মেদিনীপুর মেডিক্যালের নার্সিং হস্টেলেও। নার্সিং সুপার সুস্মিতা মণ্ডলের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন, সূত্রের খবর এমনটাই।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাতে সিজ়ারের সময়ে ঠিক কী কী হয়েছিল? তা নার্সদের মুখ থেকে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা, সূত্রের খবর এমনটাই। অন্যদিকে, এ দিনই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আইএমএ-র রাজ্য শাখার প্রতিনিধিরা। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন তাঁরা।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইএমএ-র রাজ্য শাখার সভাপতি চন্দন ঘোষাল, আইএমএ-র রাজ্য শাখার সহ-সভাপতি চিরঞ্জীব মুখোপাধ্যায়, রতন চক্রবর্তী, মেদিনীপুর শাখার সভাপতি কৃপাসিন্ধু গাঁতাইত-সহ আরও অনেকেই।
তাঁরা জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার পরে হাসপাতাল সুপার ইন্দ্রনীল সেন এবং জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন। চন্দন ঘোষাল বলেন, ‘তথ্য সংগ্রহ করে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হব। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে জুনিয়র চিকিৎসকদের সমস্যার কথা জানানো হবে।’ তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, ‘সাসপেন্ড করার আগে এদের কেন শো-কজ় করা হয়নি জুনিয়র এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের? শো-কজ় করতে তাঁরা নিশ্চয়ই জবাব দিতেন।’
ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর মেদিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জেলাশাসককে একটি চিঠি দিয়ে পিজিটি পড়ুয়াদের শাস্তির বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করার আর্জি জানিয়েছেন। ৭ জন জুনিয়র চিকিৎসকের সাসপেনশন প্রত্যাহার না হলে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।