• ‘মালদার রাজনীতি ঠিক বুঝি না…’, নিহত কাউন্সিলারের স্ত্রী’র সঙ্গে দেখা করে আর কী বললেন মমতা?
    এই সময় | ২০ জানুয়ারি ২০২৫
  • ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে মালদার দুটি কেন্দ্রেই পরাজিত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সে নিয়ে আক্ষেপের কথাও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার মালদার রাজনীতি নিয়ে ফের আক্ষেপ শোনা গেল মমতার গলায়। নিহত কাউন্সিলার দুলাল সরকারের স্ত্রী চৈতালি সরকারের সঙ্গে দেখা করার পর মমতা বলেন, ‘মালদার রাজনীতিটা আমি ঠিক বুঝি না। ইংরেজবাজারের এমএলএ ভোটেও আমরা হেরেছি। কিন্তু কাউন্সিলার ভোটে দেখবেন আমরা জিতে গিয়েছি। কী রহস্য বুঝে উঠতে পারি না। এর রহস্যটা আমাকে ভেদ করতে হবে।’

    তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে দলে রয়েছেন নিহত কাউন্সিলার দুলালচন্দ্র সরকার ওরফে বাবলা এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকার। দুলাল হত্যাকাণ্ডের পরেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘অবশ্যই পুলিশের গাফিলতিতে খুন হয়েছে।’ ইতিমধ্যে এই ঘটনায় মোট আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    মমতা এ দিন বলেন, ‘দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় যে যত বড়ই হোক না কেন প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই খুনের ঘটনায় কতগুলো কথা আমার কানে এসেছে, সেগুলো তদন্তের ব্যাপার।’ এ দিন প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা তাঁর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেন তিনি।

    কাউন্সিলারের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে মমতা বলেন, ‘বাবলা আমার চিরকালের পরিচিত। নিহত তৃণমূল কাউন্সিলার বাবলার অসম্পূর্ণ কাজ চৈতালি করবে।’ উল্লেখ্য, স্বামীর মৃত্যুর পেছনে ‘বড় ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে বারবার দাবি করে এসেছেন চৈতালি। এমনকী বেশ কিছু কথা তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আলাদা করে বলবেন বলেও জানান। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে চৈতালি বলেন, ‘আমার যা বলার আমি দিদিকে বলেছি। মুখ্যমন্ত্রী ধৈর্য্য ধরে সব শুনেছেন। আমি এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। দিদিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার কথা শোনার জন্য। তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’

    গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজার দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন দুলাল সরকার। মালদার প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি-সহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নরেন্দ্রনাথ এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম চক্রী বলে জানায় পুলিশ। ৫০ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়ে এই খুন করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে জেলা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পরে চৈতালি বলেন, ‘আমার যা বলার আমি দিদিকে বলেছি। মুখ্যমন্ত্রী ধৈর্য্য ধরে সব শুনেছেন। আমি এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম। দিদিকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার কথা শোনার জন্য। তিনি আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন।’

  • Link to this news (এই সময়)