• চন্দ্রকোণা-১ ব্লকে উন্নয়নে সেরা শিরোপা পেল ‘জাড়া পঞ্চায়েত’
    বর্তমান | ২১ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, ঘাটাল: চন্দ্রকোণা-১ ব্লকের অন্য সমস্ত পঞ্চায়েতকে পেছনে ফেলে এলাকার উন্নয়নে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিল জাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। রবিবার ব্লক প্রশাসনের তরফে ওই পঞ্চায়েতকে ‘উৎকর্ষতা পুরস্কার’ দেওয়া হয়। বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা নিয়ম মেনে তাড়াতাড়ি খরচ করেছে ওই পঞ্চায়েত। সেজন্যই ব্লক প্রশাসনের তরফে তাদের পুরস্কৃত করা হয়েছে।


    ক্ষীরপাইতে পুরস্কার দেওয়ার সময় পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক কেম্পা হেনাইয়া, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, চন্দ্রকোণার বিধায়ক অরূপ ধাড়া, ক্ষীরপাই পুরসভার চেয়ারম্যান দুর্গাশঙ্কর পান সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। জাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান উমাশঙ্কর চৌধুরী বলেন, কাজের নিরিখে প্রশাসন আমাদের পুরস্কৃত করায় খুব ভালো লাগছে। আমাদের অনেকটা দায়িত্ব বাড়ল। আগামী দিনে সময়ের মধ্যে আরও নিখুঁতভাবে জনমুখী কাজ করার চেষ্টা করব। পঞ্চায়েতের এই কাজের মান বরাবর ধরে রাখতে চাই।


    এই পঞ্চায়েত কিন্তু আকারে ছোট নয়। ২৪টি গ্রাম ও ২২টি সংসদবিশিষ্ট পঞ্চায়েত এলাকার আয়তন ৮৫৩২ একর। জনসংখ্যা ৩২হাজারের কিছু বেশি। গতবছর আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এই পঞ্চায়েত পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ৩০ লক্ষ টাকা পেয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, বরাদ্দ টাকার ৬০শতাংশে(টায়েড ফান্ড) স্বাস্থ্যবিধান প্রকল্প, শৌচাগার তৈরি, পানীয় জলপ্রকল্প, বৃষ্টির জল ধরে রাখার প্রকল্পের মতো নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে হয়। বাকি ৪০ শতাংশ টাকায়(আনটায়েড ফান্ড) স্থানীয় চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকাঠামো গড়া যায়। প্রধান জানান,  আনটায়েড ফান্ডের ১২লক্ষ টাকায় মূলত এলাকায় পথবাতি বসানো হয়েছে। জাড়া জনপদের ছ’টি সংসদে ১৭৯টি পথবাতি বসানো হয়েছে। টায়েড ফান্ডের টাকায় অন্য সংসদে ছ’টি নালা তৈরি হয়েছে। পানীয় জলের জন্য দু’টি নলকূপ ও তিনটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হয়েছে। কমিশনের টাকার ৯৩.৭শতাংশ খরচ করে ব্লকের মধ্যে রেকর্ড করেছে এই পঞ্চায়েত।


    এছাড়া, রাজ্যের পঞ্চম অর্থ কমিশনের সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় জাড়ার খেলার মাঠের পাশে গার্ডওয়াল তৈরি হয়েছে। ভাণ্ডারিয়ায় ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকায় হাইড্রেন, কালাপাঠে সাড়ে তিন লক্ষ টাকায় ঢালাই রাস্তা হয়েছে। আরও উন্নয়নমূলক কাজ ধারাবাহিকভাবে করা হবে বলে পঞ্চায়েত প্রধান উমাশঙ্করবাবু জানান। এলাকার এই উন্নয়নে খুশি গ্রামবাসীরা।
  • Link to this news (বর্তমান)