• পোস্ট অফিস ও রেলের কাছে প্রায় ২ কোটি টাকা বকেয়া সিউড়ি পুরসভার
    বর্তমান | ২১ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: সিউড়ি পুর এলাকার দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার অফিসের সার্ভিস চার্জ বকেয়া। দু’-এক বছর নয়, একটানা ১৯৯৭ সাল থেকে তা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ। সিউড়ি পুরসভার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই সংস্থা মিলিয়ে বকেয়া সার্ভিস চার্জ ২ কোটির কাছাকাছি। দুই সংস্থার মধ্যে শীর্ষে ডাক বিভাগ। অপর সংস্থাটি হল রেল। ইতিমধ্যে তাদের বকেয়া সার্ভিস চার্জ প্রায় দেড় কোটি ছাপিয়ে গিয়েছে। বকেয়া আদায়ে একাধিক চিঠি দিয়েও কানাকড়ি আদায়  না হওয়ায়, এবার পুর কর্তৃপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। 


    পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষের চতুর্থ কোয়ার্টার অবধি দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার সার্ভিস চার্জ বকেয়া রয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, ১৯৯৭-১৯৯৮ অর্থবর্ষের চতুর্থ কোয়ার্টার থেকে পোস্ট অফিসের বকেয়ার অঙ্ক দেড় কোটি ছাপিয়ে গিয়েছে। মোট বকেয়া ১ কোটি ৬৬ লাখ ১৫ হাজার ২৯৬ টাকা। সমসময়ে রেলের বকেয়া সার্ভিস চার্জ ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৫৩৮ টাকা। হিসেব অনুযায়ী দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার মোট বকেয়া ১ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার ৮৩৪ টাকা। বিপুল অঙ্কের বকেয়া সার্ভিস চার্জ আদায়ের ক্ষেত্রে এই শীতেও পুর কর্তৃপক্ষের কালঘাম ছুটছে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, একাধিকবার দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। উভয় সংস্থার তরফে একটি টাকাও পরিশোধ করা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পুর এলাকার উন্নয়নের কাজে সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে। নাগরিক পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় দুই সংস্থার কোনও হেলদোল নেই। পুরসভার দাবি, বকেয়া সার্ভিস চার্জ নিয়ে একসময় পোস্ট অফিসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল। সে সময়ে বকেয়া রাশির কমানোর বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছিল। পোস্ট অফিসের আবেদন অনুযায়ী পুর কর্তৃপক্ষের তরফে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আলোচনাই সার। পুর চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, একাধিকবার চিঠি পাঠিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পোস্ট অফিসকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এক টাকাও পরিশোধ করা হচ্ছে না। এবার আমরা দপ্তরের অনুমতি নিয়ে আদালতে যাব। রেলের তরফেও বকেয়া সার্ভিস চার্জ পরিশোধ করা হচ্ছে না। বকেয়া না মেলায় শহরের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে। 


    পোস্ট অফিসের বীরভূম জেলার সুপারিন্টেন্ডেন্ট সমীরচন্দ্র দাস বলেন, এতদিন ধরে সার্ভিস চার্জ কেন বকেয়া রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট এলেই তা স্পষ্ট হবে। পাশাপাশি বকেয়া সার্ভিস চার্জ মেটানোর চেষ্টাও চলছে। সেইসঙ্গে পুরসভার হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে বলেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। আমরা আমাদের কাজ করছি। অন্যদিকে, পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত বলেন, খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)