সরকারের দুই দপ্তরের জমিজটে সেতু ও জলাধার নির্মাণ থমকে
বর্তমান | ২১ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: দুই দপ্তরের জমিজটে থমকে সেতু এবং রিজার্ভারের কাজ। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ফাঁসিদেওয়া ব্লকের হেটমুড়ি সিঙ্গিঝোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ধিমালজোতের বাসিন্দারা। এই এলাকায় চেঙ্গা নদীতে সেতু নির্মাণ চলছে। সেতুর পাশেই চলছে পিএইচই রিজার্ভারের কাজ। শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদের তত্ত্বাবধানে কাজটি শুরু হয়েছিল। তবে এই কাজগুলি বনবিভাগের জমিতে হওয়ায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ১৬ জানুয়ারি কার্শিয়াং ডিভিশনের বাগডোগরা রেঞ্জ নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদকে নোটিস জারি করেছে। যদিও সরকারি কাজ থমকে থাকবে না বলে দাবি দুই দপ্তরের।
গত ডিসেম্বর থেকে ওই এলাকার চেঙ্গা নদীতে সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছে। তার মাস দু’য়েক আগে পিএইচই রিজার্ভার নির্মাণ শুরু হয়। যা প্রায় কয়েক কোটির প্রজেক্ট। তবে বনদপ্তরের নোটিসের পর সেই কাজ দিন তিনেক ধরে থমকে রয়েছে। সুশীল লিম্বু নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, তিন দশক ধরে আবেদন-আর্জির পর আমরা সেতু পেতে চলেছি। অথচ সরকারি কাজে আরএক দপ্তর বাধা দিচ্ছে। এটা মানা যায় না। সুরেন তামাং, অজয় লিম্বু, জিরমান রাইয়ের মতো স্থানীয়রা বলেন, এই দু’টি সরকারি কাজ বাস্তবায়ন হলে যাতায়াত ও পানীয় জলের সমস্যা মিটবে। সেতু হলে ধিমালজোত সহ মহকুমার তিনটি ব্লকের সীমানার গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের সমস্যা মিটবে। তাতে নকশালবাড়ির হাতিঘিষার গিরামনি, খড়িবাড়ির বুড়াগঞ্জ রয়েছে।
এই ব্যাপারে শিলিগুড়ি মহাকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, সেখানে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। তবে সেখানে যে বনের জমি রয়েছে তা আমরা বুঝতে পারেনি। এদিন এনওসির জন্য জেলাশাসককে আবেদন করেছি। কাজ বন্ধ রাখার মত কোনও বিষয় নেই। সমস্ত নিয়ম মেনেই কাজ হবে।
বিষয়টি নিয়ে কার্শিয়াং ডিভিশনের ডিএফও দেবেশ পান্ডে বলেন, সেখানে জমি নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছিল। জমির রেকর্ড অনুযায়ী তা ফরেস্ট ল্যান্ড। যা সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানত না। এজন্য কাজ বন্ধ রেখেছে। অতিরিক্ত জেলাশাসকের (ভূমি) মারফত জমির ভেরিফিকেশন চলছে। সেক্ষেত্রে সেটি ফরেস্ট ল্যান্ড না হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ করতে পারবে। তা না হলে পরিবেশ পোর্টালে জমির বিবরণ নথিভুক্ত করে কাজটি চালিয়ে যেতে পারে। যেহেতু সরকারি প্রকল্পের কাজ, তাই এ নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না।