পলি হাউস ফার্মিংয়ের মাধ্যমে ব্রাজিলের ‘ইনসুলিন গাছ’ চাষ
বর্তমান | ২১ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ডায়াবেটিস রোগীদের অনেকেই রক্তে সুগারের মাত্রা কমাতে ইনসুলিন ইঞ্জেকশন নেন। অবশ্য ‘ওরাল ইনসুলিন’ও পাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে শরীরে সুচ না ফুটিয়ে সেই ওষুধই পান করা হয়। ব্রাজিলে এক ধরনের গাছ পাওয়া যায়, যার পাতা শুকিয়ে চা বা জলের সঙ্গে পান করলে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এর নাম ইনসুলিন গাছ। আর সেটাই এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চাষ করে নজর কাড়লেন নরেন্দ্রপুরের কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যাপকরা। তাঁদের দাবি, এই গাছের চাষ সব আবহাওয়ায় হয় না। এখানে করতে গিয়েও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পলি হাউস ফার্মিংয়ের মাধ্যমে এই গাছের চাষ করা হয়েছে। আর তাতেই মিলেছে সাফল্য। কৃষকদের এই গাছ চাষের জন্য উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
পলি হাউস ফার্মিং কী? এখানে মাঠের একটা অংশকে চাষ করার জন্য তৈরি করা হয়। ফল, ফুল, সব্জি গাছের বীজ রোপণের পর তার উপরে উন্নত মানের পলিথিন শিট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে বাইরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ব্রাজিলের এই গাছ দেশের মধ্যে পুণে এবং দক্ষিণ ভারতের কিছু রাজ্যে চাষ শুরু হয়েছে। তাই গত বছরই পরীক্ষামূলকভাবে কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল ও ডিরেক্টর মানস ঘোষের তত্ত্বাবধানে এই চাষের উদ্যোগ নিয়েছিলেন রানাপ্রতাপ চট্টরাজ, সৌরেন্দ্রনাথ দাস এবং বিপ্লব পাল নামে তিন অধ্যাপক। অবশেষে মিলেছে সাফল্য। এই গাছের উপকারিতা সম্পর্কে তাঁরা বলেন, এটি ফায়ারি কোস্টাস বা সর্পিল পতাকা নামে পরিচিত। পূর্ব ব্রাজিলের কোস্তেসি পরিবারের একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এর পাতা শুকিয়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা হয়। এছাড়াও কেউ চাইলে এর শুকনো পাতা লিকার চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এটি একজন ডায়বেটিক রোগীর সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। -নিজস্ব চিত্র