• আবাসের অর্থ বরাদ্দ হতেই ইট-বালির চড়া দাম, ফাঁপরে উপভোক্তারা
    এই সময় | ২১ জানুয়ারি ২০২৫
  • কৌশিক দে, মালদা

    আবাস যোজনায় সরকারের টাকা পেয়েও শান্তি নেই। উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতেই একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী রাতারাতি ইট,বালি,পাথর–সহ নানা নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। তাই লাখ টাকা পেয়েও ইট, বালি কিনতে রীতিমতো কালঘাম ছুটছে আবাস প্রকল্পের উপভোক্তাদের। নির্মাণ সামগ্রীর এই কালোবাজারি রুখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইছেন তাঁরা।

    এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অনিন্দ্য সরকার বলেন, ‘গুরুতর অভিযোগ। প্রতিটি বিডিওদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, বাংলা আবাস প্রকল্পের উপভোক্তাদের নির্মাণ সামগ্রী কেনা নিয়ে যেন কালোবাজারি না হয়। এ বিষয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

    মালদার ১৫টি ব্লকের ২৯ হাজার উপভোক্তাদের বাংলা আবাস প্রকল্পের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে এক লক্ষেরও বেশি উপভোক্তা এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। বীরভূম, বাঁকুড়া এবং ঝাড়খণ্ডের পাকুর থেকে লাল বালি ও পাথর মালদায় আমদানি করা হয়। অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু হতেই বালি, পাথর ও ইটের দাম লাগামছাড়া বেড়েছে বলে উপভোক্তাদের অভিযোগ।

    পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিপুর এলাকার উপভোক্তা দীনেশ মণ্ডল, জীবন মণ্ডল বলেন, ‘ঘর তৈরির জন্য রাজ্য সরকার দফায় দফায় টাকা দিচ্ছে। কিন্তু যে ভাবে ইট,বালি,পাথরের দাম বাড়ছে, তাতে ঘর তৈরি করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে। গত তিন মাসে ইট, বালি, পাথরের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। প্রশাসনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত।’

    উপভোক্তারা জানিয়েছেন, ভিত তৈরিতেই লাখ টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বাড়ির ছাদ ঢালাই পর্যন্ত পৌঁছনো যাচ্ছে না। ইংরেজবাজারের এক নির্মাণ সামগ্রী বিক্রেতা লক্ষণ মণ্ডল বলেন, ‘বাইরে থেকে বালি, পাথর, সিমেন্ট কিনতে হয়। এক্ষেত্রে যাঁরা মাল পাঠাচ্ছেন, তাঁরাই যদি দাম বাড়িয়ে দেন তাহলে আমরা কী করব।’

    গ্রামীণ এলাকায় বাংলা আবাস প্রকল্পে ৪০০ থেকে ৬০০ স্কোয়ার ফুটের পাকা ঘর তৈরিতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগ আমাদের কানে এসেছে। পঞ্চায়েতের সব জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি আমরা জানিয়েছি। আবাস যোজনায় নির্মাণ সামগ্রী বিক্রিতে কালোবাজারি করা হলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)