পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত সাজ্জাক আলম খতম হয়েছে এনকাউন্টারে। এ বার এই ঘটনার অন্যতম ‘মাস্টারমাইন্ড’ বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল হোসেন ওরফে আবালকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
সোমবার করণদীঘির রসাখোয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আবালকে। অভিযোগ, দুই পুলিশকর্মীকে গুলি করে প্রিজন ভ্যান থেকে পালানোর জন্য সাজ্জাককে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে দেয় এই আবালই।
পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল ওরফে আবালের বাড়ি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার মারাধর গ্রামে। ২০১৯ সালে অনুপ্রবেশ ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে গোয়ালপোখর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। গোয়ালপোখরের ঝাড়বাড়ি গ্রামে তার শ্বশুরবাড়ি। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িকে নিরাপদ ডেরা বানিয়ে সে একের পর এক অপরাধ করত। সাম্প্রতিক সময়ে সাজ্জাকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে তার। আব্দুল হোসেন ওরফে আবালকে ২০২৩ সালে আদালত পুশ-ব্যাকের অর্ডার দেয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ বুধবার আদালত চত্বরে আবালকে সিসিটিভি-র ফুটেজে দেখা গিয়েছে।
গত বুধবার ইসলামপুর মহকুমা আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল খুনের মামলায় অভিযুক্ত বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাককে। সেই সময়ে প্রস্রাব করার জন্য রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করাতে পুলিশকে অনুরোধ করে সে। গাড়িতে থাকা রায়গঞ্জ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর নীলকান্ত সরকার ও কনস্টেবল দেবেন বৈশ্যকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় সাজ্জাক। পুলিশের অনুমান ছিল, আবালই কোনও ভাবে সাজ্জাকের হাতে ওই আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দিয়েছিল। এরপর আবালের খোঁজে পুলিশ পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।
সাজ্জাক শনিবার এনকাউন্টারে খতম হয়েছে। তারপর থেকেই প্রশ্ন উঠছিল আবাল গেল কোথায়? অবশেষে সোমবার করণদীঘির রসাখোয়া থেকে পুলিশের জালে ধরা পড়ল আব্দুল ওরফে আবাল।