দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে নাবালিকা খুনের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের সন্দেহ, ধৃত ২ জনই নাবালিকার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিল। পরে তারা নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুন করে। তবে তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হবে।
আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণার দিনেই বাসন্তী থানা এলাকায় ওই নাবালিকার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল পড়েছে। অভিযোগ, ধর্ষণের পর খুন করে ওই নাবালিকার দেহ জমিতে পুঁতে ফেলা হয়। সোমবার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অষ্টম শ্রেণির ওই নাবালিকা ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল বলে দাবি পরিবারের। থানায় মিসিং ডাইরি হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে মেয়েটিকে খোঁজেনি বলে অভিযোগ নাবালিকার মায়ের। স্থানীয় কিছু যুবকের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে নাবালিকার পরিবার।
ঘটনার তদন্তে নেমে বুদ্ধদেব সর্দার ও দীপেন কয়াল নামে ২ জন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চেয়েছিল বুদ্ধদেব ও দীপেন। এ দিকে তারা একে অন্যের বন্ধু ছিল।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ২ জনে একসঙ্গে মদ্যপান করে। এরপর সকলের নজর এড়িয়ে নাবালিকাকে তারা স্থানীয় ধানজমির পাশে ডাকে। তারা নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে। পরে নাবালিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে এবং দেহ পুঁতে দেয়। পুলিশ জানাচ্ছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। ওই ২ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নাবালিকার পরিবার গত ১২ জানুয়ারি বাসন্তী থানায় মিসিং ডাইরি করে। সোমবার বিকেলে ওই নাবালিকার বাড়ির অদূরে একটি জমিতে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি খোঁড়া হচ্ছিল চাষের কাজের জন্য। সেই সময়ে ওই নাবালিকার হাত মাটির উপরে দেখতে পান ট্রাক্টর চালক। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনায় কে বা কারা যুক্ত? সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।