আরজিকর কাণ্ডে নয়া মোড়, সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার
আজকাল | ২১ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। আরজিকর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকার। আরজিকর কাণ্ডে দোষীর চূড়ান্ত শাস্তির আবেদন করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। সেই মতই মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। সোমবার আরজি কর কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে শিয়ালদা আদালত।
এরপরেই এই রায় প্রসঙ্গে একপ্রকার অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, ‘পুরোটা এখনও শুনিনি। তবে জানতে পারলাম যাবজ্জীবন দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই ফাঁসির দাবি তুলেছিলাম। আমরা এখনও সেই দাবিতে অটুট আছি। তিনটে কেসে আমরা ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিয়েছি। এটা সিরিয়াস কেস। এটা নিয়ে ফাঁসির দাবি আমাদের সবার ছিল। আমাদের হাতে কেসটা থাকলে অনেকদিন আগে ফাঁসির অর্ডার করিয়ে দিতে পারতাম। এই নরপিশাচদের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত’। পরে আলাদা করে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলেও পোস্ট করেন মমতা।
সেখানে তিনি প্রশ্ন তোলেন, গত কয়েক মাস একাধিক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় চূ়ড়ান্ত শাস্তির সাজা দেওয়া হয়েছে দোষীদের। সেখানে আরজি করের ঘটনায় দোষীর ফাঁসির সাজা হল না কেন? পাশাপাশি, তিনি জানান, দোষীর ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে যাবে রাজ্য। তারপরেই মঙ্গলবার সকালে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন রাজ্য সরকারের। উল্লেখ্য, গত শনিবারের শুনানিতে আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত করা হয় সঞ্জয় রায়কে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪(ধর্ষণ), ৬৬(ধর্ষণের পর মৃত্যু) এবং ১০৩(১) (খুন) ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ১১ নভেম্বর থেকে শুরু হয় আরজি করের ঘটনার বিচারপ্রক্রিয়া। টানা ৬০ দিন চলল শুনানি। আদালতে ধৃতের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছে সিবিআই। আরজি করের সেই ন্যক্কারজনক ঘটনার ১৬২ দিন পর ১৮ জানুয়ারি সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদহ আদালত। ২০ জানুয়ারি তাঁকে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দিল আদালত।