সুপ্রিম নিষেধাজ্ঞার আগে পর্যন্ত ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কত কোটি বন্ড অনুদান পায় TMC?
হিন্দুস্তান টাইমস | ২১ জানুয়ারি ২০২৫
২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশের তাবড় আঞ্চলিক দলগুলি অনুদান পেয়েছিল ইলেক্টোরাল বন্ডেরই মাধ্যমে। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে ইলেক্টোরাল বন্ড ব্যবস্থা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এর আগে পর্যন্ত এই মাধ্যমেই সিংহভাগ অনুদান নিয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিআরএস, বিজেডির-র মতো দলগুলি। এর মধ্যে তৃণমূলের প্রাপ্ত অর্থের পরিমাণ বাকিদের ছাপিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনকে জমা দেওয়া অডিট রিপোর্টে এই সব পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে রাজনৈতিক দলগুলি।
সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ৬১২.৪ কোটি টাকা পেয়েছিল। এদিকে এই একই সময়কালে বিআরএস পেয়েছিল ৪৯৫.৫ কোটি টাকা। আর বিজেডি পেয়েছিল ২৪৫.৫ কোটি টাকা। টিডিপির পকেটে ঢুকেছিল ১৭৪.১ কোটি টাকা, ওয়াইএসআইর কংগ্রেস পার্টির অ্যাকাউন্টে ঢোকে ১২১.৫ কোটি টাকা। ডিএমকে পায় ৬০ কোটি টাকা এবং জেএমএম পায় ১১.৫ কোটি টাকা। এছাড়া সিকিম ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের অ্যাকাউন্টে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে এসেছিল ৫.৫ কোটি টাকা।
এদিকে দেখা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসে মোট উপার্জনের ৯৫ শতাংশই এসেছিল ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে। এদিকে বিআরএস-এর মোট আয়ের ৭২ শতাংশ আসে ইলেক্টোরাল বন্ডে, বিজেডির মোট অনুদানের ৮২ শতাংশ ইলেক্টোরাল বন্ডের, টিডিপির আয়ের ৬১ শতাংশ ইলেক্টোরাল বন্ডের, ওয়াইএসআরসিপির ৬৪ শতাংশ আয় ইলেক্টোরাল বন্ডে, জেএমএম-র ৭৩ শতাংশ আয় ইলেক্টোরাল বন্ডে। এছাড়া ডিএমকে-র আয়ের মাত্র ৩৩ শতাংশ ইলেক্টোরাল বন্ডে।
এদিকে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে অনুদান একলাফে বেড়েছে ৮৮ শতাংশ। এদিকে বিজেডির ক্ষেত্রে তা বেড়েছে ৬১ শতাংশ, ওয়াইএসআরসিপির ক্ষেত্রে তা ১৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে টিডিপির বন্ড আয় বেড়েছিল ৪১২ শতাংশ, জেএমএম-র ক্ষেত্রে তা ৮৫৫ শতাংশ। তবে ডিএমকে-র ইলেক্টোরল বন্ড আয়ের পরিমাণ ৬৭ শতাংস কমে যায়। বিআরএস-এর বন্ড অনুদান কমে গিয়েছিল ৬.৩ শতাংশ।
অপরদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে জাতীয় পার্টিগুলির মধ্যে আম আদমি পার্টির পকেটে ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ঢুকেছে ১০.১ কোটি টাকা। যা তাদের মোট আয়ের ৪৪ শতাংশ। আম আদমি পার্টির মোট আয় ছিল ২২.৭ কোটি টাকা। এছাড়া সিপিএম অনুদান পেয়েছিল ১৬.৮ লাখ টাকার। এনপিপি পেয়েছিল ২২.৪ লাখ টাকা এবং বিএপসি পেয়েছিল ৬৪.৮ কোটি টাকা। এদিকে সিপিআই অনুদান বাবদ মোট আয় করেছে ১৯.৫ কোটি টাকা।