• মেদিনীপুরের পর জলপাইগুড়ি! ফের অসুস্থ প্রসূতি, 'কোমায়' মা...
    ২৪ ঘন্টা | ২১ জানুয়ারি ২০২৫
  • প্রদ্যুত দাস: ফের চিকিৎসায় গাফিলতিতে কোমায় সদ্যজাতর মা। রোগীর পরিবারের সন্দেহের তির স্যালাইনের দিকে। মেদিনীপুরের পর চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ পেত জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেতেই পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। 

    জলপাইগুড়ি বোয়ালমারি নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকার বাসিন্দা বছর ২৩ এর শান্তনা রায়। তিনি সন্তান সম্ববা ছিলেন। প্রসব বেদনা উঠলে গত ২৯ ডিসেম্বর তাকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীনে থাকা মাদার চাইল্ড হাবে ভর্তি করেন রোগীর পরিবার। ওইদিন রাতেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন তিনি। পরদিন থেকে রোগীর অসুস্থতা শুরু হয়। কিডনি বিকল হয়ে ধীরে ধীরে শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর ২ রা জানুয়ারি গভীর রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। এখনও রোগী সেখানে চিকিৎসাধীন। বর্তমানে ভেন্টিলেশনে রয়েছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।

    এই ঘটনার জেরে সোমবার রাতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার দারস্থ পরিবার। কেনো সুস্থ প্রসূতি সিজার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে কোমায় চলে গেলো তা নিয়ে উপযুক্ত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন পরিবার। স্বামী উত্তম মাতব্বর অভিযোগ করে বলেন 'আমার রোগীকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। আমার সন্দেহ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে বিষাক্ত স্যালাইন নিয়ে যেই ঘটনা হয়েছে এখানেও হয়তো তাই হয়েছে।' 

    নাগরিক চেতনা মঞ্চের সদস্য গোপাল দে সরকার বলেন 'মেদিনীপুরের ঘটনা সামনে আসার পর আমরা আতঙ্কিত। তাই আমরা চাই রোগী যাতে দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে তার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা হোক। একই সঙ্গে ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত হোক।'

    জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের MSVP ডাক্তার কল্যান খাঁ টেলিফোনে জানিয়েছেন অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা স্ত্রী রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহ মোট ৫ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

     

     

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)