বিএসএফ-এর সঙ্গে বাংলাদেশিদের বচসায় এ রাজ্যের সাধারণ মানুষকে না জড়ানোর পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার মালদার সভা থেকে এই বার্তা দিয়েছেন তিনি।
মমত বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘ওপার বাংলায় একটু সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু বর্ডার দেখার দায়িত্ব বিএসএফ-এর। যদি কোনও অন্যায় হয় আমরা দেখে নেব। কিন্তু বিএসএফ-এর সঙ্গে ওদের বচসা হলে আপনারা যাবেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশকে বলব মাইকে ঘোষণা করে ভারতের লোকজনদের সেখান থেকে সরে আসতে বলুন। বাদবাকি প্রশাসন দেখে নেবে। আমি বিশ্বাস করি, একদিন হয়তো আমাদের সম্পর্ক আবার ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন, কোনও সমাজ বিরোধী বা জঙ্গি যাতে কারও বাড়ি বা হোটেল ভাড়া নিয়ে বাসা না বাঁধতে পারে। কোনও সমাজ বিরোধী যেন ঘুঘুর বাসা বানাতে না পারে। তাহলে তা দেশের ক্ষতি, সমাজের ক্ষতি, রাজ্যের ক্ষতি। শান্তি ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় (যার সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময় অনলাইন’)। যেখানে দেখা যায় মালদার বৈষ্ণবনগর থানার শুকদেবপুরে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন সীমান্ত পেরিয়ে প্রবেশ করেছিল। শুধু তাই নয়, ভারতীয় কৃষকদের জমির ফসল নষ্ট করে বলে অভিযোগ উঠেছিল এই অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে। বিএসএফ-এর তরফে প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছিল, ভারত ও বাংলাদেশের কৃষকদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল। বিএসএফ ও বিজিবি পরিস্থিতি সামলে দিয়েছিল। তা সীমান্ত সমস্যা বা বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে ঝামেলা নয়, দাবি করা হয়েছিল এমনটাই।
কিছুদিন আগে কোচবিহার জেলার ফুলকাডাবড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কাঁটাতার বসানো নিয়েও এ পারের বাসিন্দাদের সঙ্গে ওপারে বাংলাদেশিদের অশান্তি ছড়িয়েছিল। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার খোলা সীমান্তে স্থানীয় গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্যোগে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছিলেন বলে সূত্রের খবর। গ্রামবাসীরা জানান, তাঁরা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই বেড়া দিচ্ছিলেন। পরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার পর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ফ্ল্যাগ মিটিং হয়।