• চাউমিন খাচ্ছিল ছেলে, পেছন থেকে গলায় ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ, নরেন্দ্রপুরের ঘটনায় স্বীকারোক্তি মায়ের
    এই সময় | ২১ জানুয়ারি ২০২৫
  • মায়ের গলা জড়িয়ে আদর, খেতে চেয়েছিল চাউমিন। রাগ, অভিমান, শাসন—মা, ছেলের সম্পর্কে ছিল সমস্ত কিছুই। কিন্তু কী এমন ঘটেছিল যার জন্য ৮ বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করল মা? কী ভাবে এই কাণ্ড ঘটাল সে? নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহের মৌলিহাটি এলাকায় সন্তান খুনে ধৃত মা তনুজা মণ্ডল পুলিশের কাছে স্বীকার করল, সবটাই ঘটেছে রাগের মাথায়। বর্ণনা করলেন কী ভাবে ঘটেছে এই ঘটনা।

    গত শনিবার নরেন্দ্রপুর থানায় আত্মসমর্পণ করে তনুজা মণ্ডল নামে এক মহিলা। রাগের মাথায় ৮ বছরের ছেলেকে খুন করার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে সে। দুই সন্তান এবং স্বামীকে নিয়ে সুখেই সংসার করছিল তনুজা। ২ বছর আগে তার দেড় বছরের ছোট ছেলেরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। বড় ছেলে দেবজিৎ মণ্ডল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। গত শনিবার তার স্বামী প্রসেনজিৎ মণ্ডল কাজের জন্য বাড়ি থেকে বার হওয়ার পরে মায়ের সঙ্গেই ছিল শিশুটি। কী এমন করল দেবজিৎ? তনুজার স্বীকারোক্তিতে চমকে উঠছেন দুঁদে পুলিশ আধিকারিকরা।

    তনুজা জানিয়েছে, শনিবার সে নিষেধ করা সত্ত্বেও খেলতে চলে গিয়েছিল দেবজিৎ। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই ফিরে এসেছিল সে। ফেরার পরে মায়ের গলা জড়িয়ে আদরও করে। এর পর খেতে চেয়েছিল সে। বাড়িতে চাউমিন ছিল। তা রান্না করে ছেলেকে খেতেও দিয়েছিল তনুজা। সেই সময়ে টিভি দেখছিল সে। সব নিয়েই তার মেজাজ খিঁচড়ে ওঠে। আচমকাই পেছন থেকে দেবজিতের গলায় ওড়না জড়িয়ে পেছন থেকে টেনে ধরে তনুজা। চিৎকার করে দেবজিৎ। কিন্তু রুমের মধ্যে টিভি চলায় সেই আওয়াজ বাইরে যায়নি। ছটপট করতে করতে মারা যায় খুদে। এর পর ছেলেকে বিছানায় কম্বল চাপা দিয়ে শুইয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় তনুজা। পুলিশ স্টেশনে গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সে।

    বারুইপুর মহকুমা আদালতের নির্দেশে ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের হেফাজতে রয়েছে তনুজা মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে খবর, লক আপে মাঝে মধ্যেই কান্নাকাটি করছে সে। বুধবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে তাকে। তার কোনও মানসিক সমস্যা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)