রায় শোনার পরেই সিদ্ধান্তটি ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী ডাক্তারকে ধর্ষণ-খুন কাণ্ডে দোষী সঞ্জয় রায়ের ফাঁসি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করল রাজ্য। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকারের করা এই মামলায় অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।
নিম্ন আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট নন মমতা
সোমবার আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদা আদালত। ওই রায়ের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি রায়ে সন্তুষ্ট নন। এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লেখে, 'আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ খুনের মামলায় আদালতের বিচারে আমি স্তম্ভিত। আদালত এই ঘটনাটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা আখ্যা দিল না দেখেও অবাক লাগল। গত ৩-৪ মাসে এই ধরনের অপরাধে আমরা একাধিক অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করেছি। আরজি কর কাণ্ডেও অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।' এরপরেই মমতা ঘোষণা করেন, হাইকোর্টে আবেদন করবে রাজ্য সরকার।
ফাঁসির সাজা চায় রাজ্য সরকার
গত বছরের ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুমে তরুণী ডাক্তারের অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সঞ্জয় রায় নামে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। যদিও চার্জশিটে সিবিআই-ও সঞ্জয় রায়কেই একমাত্র অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করে। সম্প্রতি গুড়াপ, ফরাক্কা, জয়নগরের ঘটনাগুলিতে দোষীদের ফাঁসির সাজা দিয়েছে নিম্ন আদালত। এই মামলাগুলির তদন্তভার রাজ্য পুলিশের হাতেই ছিল। সোমবার সিবিআই-এর তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘আমাদের হাতে এই মামলা থাকলে, আমরা অনেক আগেই ফাঁসির রায় করিয়ে দিতে পারতাম।’