বিধান সরকার: জাল আধার কার্ড বানিয়ে চল্লিশ বছর আগে মৃতের নামে থাকা জমি বিক্রির ফন্দি। পুলিসের জালে এক অভিযুক্ত। কোথা থেকে জাল আধার তৈরি করা হয়েছিল তা খোঁজ নিচ্ছে পুলিস। ঘটনা হুগলির দাদপুর থানার মহেশ্বরপুরের।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে,পোলবা কোটালপুরের বাসিন্দা আব্বাস আলি নায়েক, গোলাম মোর্তাজা সেজে দূর্গাপুর এক্সপ্রেস রোডের পাশে ২১ শতক জমি বিক্রির জন্য চেষ্টা করেন। ওই জমির বর্তমান বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।
গোলাম মোর্তাজার ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান,তাঁর বাবা প্রায় ৪০ বছর আগে মারা গিয়েছেন। মহেশ্বরপুরে হাইরোডের পাশে দুটি দাগ নম্বরে ২১ শতক জমি রয়েছে বাবার নামে। সেই জমি বিক্রির জন্য ক্রেতা নিয়ে আসে এক ব্যাক্তি। জমিতে লোকজন রয়েছে দেখে তাদের জিজ্ঞাসা করেন। জমি বিক্রি হবে তাই দেখতে এসেছেন।
রফিকুল বলেন, আমরা অবাক হয়ে যাই। আমাদের জমি অথচ আমরাই জানি না কে বিক্রি করবে। তারপর আব্বাস আলিকে ধরতে তার কাছ থেকে একটি আধার কার্ড পাওয়া যায়। যেটা দেখে আরো অবাক হই। আমার বাবার নামে আধার কার্ড। কিন্তু ছবি আব্বাস আলির। বাবা মারা গেছেন প্রায় চল্লিশ বছর আগে। অভিযুক্তকে ধরে দাদপুর থানায় দিয়ে আসি।
পুলিস জানিয়েছে, আধার জাল করে অন্যের জমি বিক্রির পরিকল্পনা করছিল। এই অভিযোগে আব্বাস আলিকে গ্রেফতার করা হয়। গতকাল তাকে আদালতে পেশ করে চারদিনের পুলিস হেফাজত নেওয়া হয়। কোথা থেকে জাল আধার কার্ড তৈরি করা হয়েছে, এই চক্রে আরো কারা যুক্ত তা দেখা হচ্ছে।
তদন্তকারীদের প্রাথমিক সন্দেহ, এই ভাবে জাল কাগজ দেখিয়ে ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করত প্রতারক। তারপর জমি দেখিয়ে অগ্রিম নিয়ে কেটে পড়ত। এর জন্য আগে থেকে পরিকল্পনা করত কী ভাবে ফাঁদে ফেলা যায়। আধার নকল না আসল সেটা না দেখে বিশ্বাস করলেই ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা।