পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে ওই স্থলবন্দর এলাকায় তেমন লোকজন ছিল না। এলাকায় পোড়া গন্ধ ছড়াতে থাকে। লোকজন সেখানে গিয়ে দেখতে পান, ওই স্থলবন্দরের একটি গুদামে আগুন লেগেছে। নিমেষে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে ওই গুদামে। উপস্থিত লোকজন প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু সেই আগুন আয়ত্ত্বে আসার বদলে আরও বাড়তে থাকে।
জানা গিয়েছে, ওই গুদাম ঘরে বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া ফলের জুস মজুত থাকত। আগুনের লেলিহান শিখা প্রায় অনেকটাই গ্রাস করে ফেলে গুদামটিকে। মেখলিগঞ্জ থেকে দমকলের ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। ঠান্ডা হাওয়া চলার কারণে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়ছিল। আশপাশে আরও একাধিক গুদাম আছে। ফলে সেসব জায়গায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও দেখা যায়। দীর্ঘ সময়ের চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বেশ কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে খবর।
কোচবিহারের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর বাণিজ্যিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত-বাংলাদেশের স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি ক্ষেত্রে বহু জিনিসপত্র গুদামে রাখা হয়। শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগল? নাকি অন্য কোনও কারণ? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।