কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতি মৃত্যু এবং সাত পিজিটির সাসপেনশন অর্ডারকে সামনে রেখে আংশিক কর্মবিরতির ডাক দেন হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার রাত থেকে শুরু হয় অবস্থান। মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, তাঁরা অবস্থান তুলে নিচ্ছেন। বুধবার থেকে পুরোদমে কাজে যোগ দিচ্ছেন তাঁরা। জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েই তাঁরা কাজে ফিরছেন।
গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঁচ প্রসূতির সিজ়ার করা হয়। মামনি রুইদাস নামে একজনের মৃত্যু হয়। তদন্তে উঠে আসে গাফিলতির কথা। জানা যায়, সিজ়ারের সময় ওটিতে কোনও সিনিয়র ডাক্তার ছিলেন না। এই ঘটনায় শুরু হয় সিআইডি তদন্ত। ৭ জন জুনিয়র ডাক্তার-সহ ১৩ জনকে সাসপেন্ড করা হয়।
সাত জন পিজিটির সাসপেনশন ঘিরে প্রতিবাদে সরব হন জুনিয়র ডাক্তাররা। অবস্থান, আংশিক কর্মবিরতির পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দেন তাঁরা। স্বাস্থ্য ভবনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তাররা মিলিতভাবে ডিএমই, ডিএইচএস, এনএমসি-র কাছেও আবেদন জানান।
শনিবার রাত থেকে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেছিলেন তাঁরা। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল, সুপার ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিকের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকও হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের। প্রিন্সিপালের তরফে চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিকর্তা এবং এডিজি সিআইডি-র কাছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষে বার্তা দেন আইএমএ-র প্রতিনিধিদলও।
প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী জানিয়েছিলেন, ‘তাঁরা শিক্ষানবিশ। আশা করি তাঁদের বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করা হবে।’ সাসপেন্ডেড সাত জুনিয়র চিকিৎসক ব্যক্তিগতভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, সাসপেনশন প্রত্যাহারের জন্য। এ দিন তাঁরা জানান, সমস্ত মহল থেকে আশ্বাস পাওয়ার পর তাঁরা অবস্থান প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে জানান, নিয়ম মেনেই সে দিন রাতে আরএমও-এর উপস্থিতিতেই ওটিতে ছিলেন পিজিটিরা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। আমরাও আশাবাদী।’